স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর
ডটকম: সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার
নিয়মিত বৈঠকে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৬ এর খসড়া অনুমোদন পায়।
এই আইনের অধীনে গঠিত একটি কাউন্সিল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর
শিক্ষা কার্যক্রম যাচাই করে এ বিষয়ে স্বীকৃতি দেবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৮টি পাবলিক ও ৯২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
রয়েছে।
বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের
বলেন, “এটি একটি যুগান্তকারী আইন। বাংলাদেশে
উচ্চ শিক্ষার প্রত্যাশিত মান নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে
বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি নির্দিষ্ট মানে
আনাও অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠনের উদ্দেশ্য।
“কাউন্সিল সার্টিফিকেশন (নিশ্চয়তা)
দেবে যে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি মানসম্পন্ন আর এ বিশ্ববিদ্যালয়টি মানসম্পন্ন নয়,” বলেন
শফিউল।
এই আইনের বলে চেয়ারম্যানসহ ১১ জন সদস্য নিয়ে অ্যাক্রেডিটেশন
কাউন্সিল গঠিত হবে। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সরকার নিযোগ দেবে।
“অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল সংবিধির
আলোকে পর্যালোচনা করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে
এর আওতায় আসতে হবে।”
শফিউল বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট
সবার অবগতির জন্য কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এর মাধ্যমে কেউ সংক্ষুব্ধ
হলে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন।
“অ্যাক্রেডিটেশন সনদ ছাড়া কোনো
প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত বলে প্রচার করতে পারবে না। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো
ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক ছাড়া কোনো সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারবে না।”
সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল
কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ
সচিব।
শফিউল আলম বলেন, ১৯৮৫ সালের দ্য সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অর্ডিন্যান্সকে
বাংলায় অনুবাদসহ একটু পরিমার্জন করে নতুন আইনটি করা হয়েছে।
একজন চেয়ারম্যান ও ছয়জন সদস্য নিয়ে এই কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে
জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের সব কাজ কর্তৃপক্ষের আওতায়
থাকবে।
“কর্তৃপক্ষের কাজ তদারকির জন্য
একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গভর্নিং বডি করা হয়েছে। বিমানমন্ত্রী এর সভাপতি। এই বডি কর্তৃপক্ষের
নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে, কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা ও পরামর্শ দেবে।”
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও গভর্নিং বডির সদস্য থাকবেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হবেন এর সদস্য সচিব।
“কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমোদন নিয়ে
সেবা, ফি, চার্জ, রয়্যালটি, প্রিমিয়াম ও ভাড়া আরোপ ও আদায় করতে পারবে,” বলেন
মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
কন্টেইনার
সার্ভিস কোম্পানি হচ্ছে
বাংলাদেশ রেলওয়ে কনটেইনার পরিবহন সার্ভিসকে স্বতন্ত্র কোম্পানির
মাধ্যমে পরিচালনার জন্য ‘কনটেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশ
লিমিটেড’ গঠনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে
মন্ত্রিসভা।
দাতা সংস্থা এডিবির (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) অনুরোধে কনটেইনার
ব্যবসা ‘সাসটেইনেবল’ পর্যায়ে
আনতে এটি একটি কোম্পানির আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, কেম্পানিতে ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ থাকবে।
এই পর্ষদে একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাতজন
পরিচালক থাকবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আপাতত রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক
(অপারেশন) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কোম্পানিটি শুরু করবেন।
“বর্তমানে আমাদের দেশে ৯৫ ভাগ
কন্টেইনার পরিবহন সড়ক পথে হয়। ৫ শতাংশ হয় রেলের মাধ্যমে। রেলের কন্টেইনার সার্ভিস আরও
উন্নত করতে এ কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।”
0 coment rios: