ক্রুইফের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ৬৮ বছর
বয়সে পৃথিবী ছেড়েছেন নেদারল্যান্ডসের এই সাবেক তারকা ফরোয়ার্ড।
“ক্যান্সারে সঙ্গে কঠিন লড়াই শেষে ২৪ মার্চ বার্সেলোনায় আত্মীয়-স্বজন পরিবেষ্টিত অবস্থায় শান্তিতে মারা যান ইয়োহান ক্রুইফ।”
তিন বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার গত অক্টোবরে তার অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন।
গত
ফেব্রুয়ারিতে ক্রুইফ জানান, তার মনে হচ্ছে, ফুসফুসের ক্যান্সারের বিপক্ষে
‘ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে’ আছেন তিনি এবং তিনি নিশ্চিত, ম্যাচ শেষে তিনি
জিতবেন।
ধূমপায়ী ক্রুইফ ১৯৯১ সালে হৃদপিন্ডে জোড়া বাইপাস
অস্ত্রোপচারের পর সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেন। কাতালান স্বাস্থ্য বিভাগের এক
বিজ্ঞাপনে ক্রুইফ বলেছিলেন, “ফুটবল জীবনে আমাকে সব কিছু দিয়েছে, কিন্তু
তামাক তার সবই প্রায় কেড়ে নিচ্ছিল।”
আয়াক্সের হয়ে খেলোয়াড় হিসেবে
টানা তিন বার ইউরোপিয়ান কাপ জেতেন ক্রুইফ। ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে
নেদারল্যান্ডসকে ফাইনালে তোলেন তিনি। তবে পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে ট্রফি
উঁচিয়ে ধরা হয়নি তার। ওই বিশ্বকাপেই সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমবারের
মতো ‘ক্রুইফ টার্ন’ দেখিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি।
কোচ হিসেবে
স্পেনের বার্সেলোনাকে ১৯৯২ সালে তাদের প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ এনে দেন ক্রুইফ।
তার অধীনে স্পেনের এই শীর্ষস্থানীয় ক্লাবটি ১৯৯০-৯১ থেকে টানা চারবার লা
লিগার শিরোপা জেতে।
১৯৯৫ সালে বার্সেলোনার কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্লাবটিতে প্রভাব রেখেছেন।
0 coment rios: