স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্বদেশসময়টোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: সাগরপথে মানবপাচার করে তাদের আটকে রেখে মুক্তিপণ
আদায়ের সঙ্গে জড়িত এক নারী সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন
কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় কক্সবাজার থানায়
মামলাটি দায়ের করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ।
মামলা নং ৫১।
দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র এবং কক্সবাজার থানা মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে।
মামলার
এজাহারে বলা হয়েছে, অপহৃতদের স্বজনদের পাঠানো টাকা এসেছে মিনু আরা বেগম
নামের এক নারীর ব্যাংক হিসাবে। কক্সবাজারে ওই নারীর ব্যাংক হিসাবটিতেই
পাওয়া গেছে ৩১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এ টাকা এসেছে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে।
দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে, এ অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিকে অপহরণ করে আদায় করা হয়েছে।
সূত্র
জানায়, ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানার আমিরাবাদের
শফিক আহমেদ ওই ব্যাংক হিসাবে আড়াই লাখ টাকা পাঠান। তার ছেলে হাবিবুল্লাহকে
মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে থাইল্যান্ডে আটকে রাখে পাচারকারীরা।
মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পরও চাহিদামতো অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় থাইল্যান্ডে খুন হন ওই তরুণ।
টেকনাফের
নুরুল বশর ও রশীদের পরিবারের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের বিভিন্ন সময়ে ওই ব্যাংক
হিসাবে আট লাখ ৯০ হাজার টাকা পাঠান আবদুল হক নামের তাদের এক স্বজন। টাকা
দেওয়ার পরও ওই দু’জন এখনো মালয়েশিয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
ঝিনাইদহের
দুই রাজমিস্ত্রি গোলাম মোস্তফা ও মো. শাহাবুদ্দিনের পরিবার থেকে মিনু
আরা বেগমের ব্যাংক হিসাবে মোট চার লাখ টাকা পাঠানো হলেও মুক্তি পাননি
তারা। এ রকমভাবে বিভিন্নজনের কাছ থেকে মিনু আরা বেগমের ব্যাংক হিসাবে মোট
৩১ লাখ ৩২ হাজার টাকা জমা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ২০১৫ সালে
কক্সবাজার থানায় হাবিবুল্লাহর বাবা শফিক আহমেদের করা একটি মামলায় (মামলা
নম্বর ৪৩/২/২০১৫) গ্রেফতার হন মিনু আরা বেগম।
মামলায় হাবিবুল্লাহ
অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর নামে মিনু আরা বেগম ও তার
স্বামী মাসুদুর রহমান তার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করেছেন। হাবিবুল্লাহকে
নির্মম নির্যাতন করে থাইল্যান্ডে খুন করেছে অপহরণকারীরা। ওই মামলার
তদন্তভার আসে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ওপর। সিআইডির তদন্তকালে
মিনু আরা বেগমের ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ টাকার সন্ধান পাওয়া যায়। এ
বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য দুদকের কাছে পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। তারই
পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
অনুসন্ধান শেষে দুদকের সমন্বিত
জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ অর্থ পাচার আইনে মিনু আরা
বেগমের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে গত জানুয়ারিতে কমিশনে প্রতিবেদন জমা
দেন। ফেব্রুয়ারিতে কমিশন যাছাই করে অনুমোদন দেয়। এরপর সোমবার মানি
লন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা।
সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬
Author: Swadeshsomoy24.com
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: