স্বদেশসময়টোয়েন্টিফোরডটকম: সালিশ বসিয়ে এক গৃহবধূ ও তার দেবরকে
লাঠিপেটার পর মাথা কামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর গলাচিপায় গজালিয়া
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালিদুল ইসলাম স্বপনের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে ইউনিয়নের ইসাদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস জানান ।
খালিদুল
ইসলাম স্বপন সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে গজালিয়া ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান
নির্বাচিত হয়েছেন। গলাচিপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি স্বপন পটুয়াখালী-৩
(গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেনের ছোট ভাই।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ও তার দেবর বর্তমানে গলাচিপা থানা হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালীর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক।
সালিশে
উপস্থিত সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ‘পরকীয়ার অভিযোগ তুলে’ দেবর-ভাবীকে ধরে
এনে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য, গ্রাম পুলিশ, চৌকিদারসহ কয়েকশ লোকের
সামনে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ শুরু হয়।
“সালিশে স্বপন নিজেই লাঠি দিয়ে
দুইজনকে পেটান। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ সংজ্ঞা হারান এবং চেয়ারম্যানের
নির্দেশে তাদের মাথা ন্যাড়া করে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
ইউনিয়ের সাবেক এক
সদস্য জানান, দুপুরে চেয়ারম্যানের ভাগ্নে টিপু ও তার সহযোগীরা পরিষদ সংলগ্ন
রাঢ়ী বাড়ি থেকে ওই নারী ও তার দেবরকে ধরে এনে পরিষদের একটি কক্ষে আটকে
রাখে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সালিশ শুরু
হয়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চেয়ারম্যান স্বপন ও তার ভাগ্নে টিপুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
স্বপনের
ভাই সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“বিষয়টি আমি রাতে পুলিশের কাছ থেকে শুনেছি। প্রকৃত ঘটনা জেনে অবশ্যই আইনগত
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, “ঘটনার পর নিরাপত্তার
জন্য ওই গৃহবধূ এবং তার দেবরকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের অভিযোগের
ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: