এক দেশ থেকে আরেক দেশে সুইফটের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর হয়ে থাকে। এজন্য সুইফট প্রত্যেকটি সদস্যকে একটি নির্দিষ্ট কোড ও সিস্টেম ব্যবহারের জন্য গোপন নম্বর (পিন) দিয়ে থাকে।
বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে সুইফট মেসেজ পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে থাকা ১০ কোটি ডলার ফিলিপিন্স এবং শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর হয়।
এই ঘটনায় রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আর কারও দায় ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর মধ্যেই সম্প্রতি সুইফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোটফ্রিড লেব্র্যান্ডট এক চিঠিতে বাংলাদেশের তাদের সদস্যদের বলেছেন, তাদের সিস্টেমে হ্যাকিংয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকও তাদের সিস্টেম হ্যাক হয়নি বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে। যার অর্থ এই ঘটনার পুরো দায় বাংলাদেশ ব্যাংককেই নিতে হচ্ছে।
সুইফট মেম্বার অ্যান্ড ইউজার গ্রুপ অব বাংলাদেশের মহাসচিব ও এসআইবিএল ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম এম ফরহাদের কাছে চিঠিটি এসেছে।
.
“তবে গ্রাহকের নিজস্ব নেটওয়ার্ক সিস্টেমের সেট আপ, মেইনটেন্যান্স ও মনিটরিংয়ের দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে,” বলেছেন সুইফট সিইও।
সুইফটের চিঠির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এ এম এম ফরহাদকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোনে কথা বলতে রাজি হননি।
সম্প্রতি সুইফটের দুজন প্রতিনিধি বাংলাদেশ ব্যাংক ঘুরে গেছেন। ওই প্রতিনিধি দুজন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, তদন্তকারী সংস্থাগুলো ও বাংলাদেশের সুইফট ইউজার গ্রুপের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
তারা তদন্ত শুরুর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শুভংকর সাহা শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “উনারা সুইফটের সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখবেন। সেখানে কোনো ত্রুটি আছে কি না বা কোনো আপগ্রেডেশন দরকার আছে কি না।”
“এছাড়া রিজার্ভের অর্থ কীভাবে সরানো হয়েছে বা এই অর্থ সরাতে সুফইট মেসেজ কীভাবে ব্যবহার হয়েছে, সে বিষয়টিও তারা দেখবেন।”
0 coment rios: