এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে দেওয়া রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি
শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের
হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়।
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরাতে বলা হয়েছে আদালতের রায়ে। তবে কবরটি ঠিক রাখতে বলা হয়েছে।
আদালতে
রিট আবেদনকারীর পক্ষে লড়েন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী।
রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
২০১২
সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ‘বেড়ে উঠছে কথিত মাজার/হুমকিতে শহীদ মিনার’ শিরোনামে
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটি পত্রিকার প্রতিবেদন যুক্ত করে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক
মুনতাসীর মামুন ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
সেই মাজারের এই ছবিটি প্রকাশ করা হয় কালের কণ্ঠে
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওইদিন হাই কোর্ট রুল জারি করে। কেন্দ্রীয় শহীদ
মিনারের জমি রক্ষার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান
প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল ডিভিশন), ঢাকার জেলা প্রশাসক ও
শাহবাগ থানার ওসিসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রুলের সঙ্গে দেওয়া অন্তবর্তীকালীন আদেশে কবর ঠিক রেখে মাজারের অবৈধ স্থাপনা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
আদালতের আদেশ পাওয়ার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি গণপূর্ত বিভাগ ওই মাজারের খাদেমের বসার জায়গা, অজুখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে দেয়।
বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধি জানান, সে সময় কিছু স্থাপনা
ভাঙার পর মূল মাজারে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেসব এখনো সেভাবেই আছে।
বিষয়টি আদালতে গড়ানোর চার বছর পর রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দিল আদালত।
রায়ের
পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল ডিভিশন), ঢাকার জেলা
প্রশাসক ও শাহবাগ থানার ওসিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কবরটি ছাড়া অবৈধ সব স্থাপনা
ভেঙে অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছে। কবরটি মর্যাদার সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে।
শহীদ মিনারের পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষায় আদালত এ রায় দিয়েছে।”
0 coment rios: