বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

নির্বাচনী সহিংসতার বলি ৬

নির্বাচনী সহিংসতার বলি ৬ 
স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
ডেস্ক রিপোর্ট :  দ্বিতীয় ধাপে ৬৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন ছয় জন।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে তিনজন, রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জে এক শিশু, যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়ায় একজন ও মাদারীপুরে এক যুবক নিহত হয়েছে।

সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম :  চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার বাউরিয়া ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ ইব্রাহীম (৩৫), মো. জামাল(৩৪) ও সানাউল্লাহ(৪৫)। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার তিনজন নিহত হওয়ার খবর রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।
 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে উপজেলার বাউরিয়া ইউনিয়নে কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

কেরানীগঞ্জ : রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে শহিদুল ইসলাম শুভ নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরো দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে হযরতপুর ইউনিয়নের মধুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আয়নালের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থীর লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

গোলাগুলির মধ্যে পড়ে শিশু শুভসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ  (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানোকালে পথে শুভর মৃত্যু হয়।
 
যশোর : সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের চাঁচড়াবাজার এলাকার ভাতুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের গোলাগুলিতে গোলাপ হোসেন (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। গোলাপ হোসেন ভোটকেন্দ্রের বাইরে মুড়ি বিক্রি করছিলেন। তিনি শহরতলীর খোলাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।

যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস আলী জানান, চাঁচড়ার ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুইপক্ষের মধ্যে বোমাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

এ সময় ভোটকেন্দ্রের বাইরে মুড়ি বিক্রেতা গোলাপ হোসেনের কপালে একটি গুলি লাগলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে হাসান নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হাসানকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাদারীপুর : সদর উপজেলার ধুরাইলে ভোট গ্রহণ শেষে দুপক্ষের সংঘর্ষকালে গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধুরাইল ইউনিয়নের দক্ষিণ বীরাঙ্গল গ্রামে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ  হয়। এ সময় গুলিতে সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের বীরাঙ্গল গ্রামের বাচ্চু মৃধার ছেলে সুজন মৃধা নিহত হন।

বাচ্চু মৃধা অভিযোগ করে বলেন, ‘সংঘর্ষকালে পুলিশের গুলিতে তার ছেলে নিহত হয়েছেন।’ এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় সুজন কোনপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছে তা জানি না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি গুলি ছুড়েছে কি না তদন্তের পর জানা যাবে।’

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: