স্পোর্টস ডেস্ক
গত বছর সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ সিরিজের পর টেস্টকে বিদায় জানিয়েছিলেন ওয়াটসন। ওয়ানডেও খেলছেন না গত সেপ্টেম্বর থেকে। টি-টোয়েন্টিতেও একবার দলে থাকেন তো আরেকবার বাদ পড়েন- এই অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে ওয়াটসন সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্বকাপের পরপরই ব্যাট-প্যাড পুরোপুরি তুলে রাখা ভালো। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাবেন তিনি।
বিশ্বকাপের পর পরই তার অবসর কার্যকর হবে। ২০০০ সালের পর ২০০৭ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সোনালি প্রজন্মের সর্বশেষ সদস্য ছিলেন ওয়াটসন। তার অবসরের সঙ্গে সঙ্গে সেই সোনালি প্রজন্মের সঙ্গে বর্তমান অস্ট্রেলিয়া দলের যোগসূত্রটাই শেষ হয়ে যাবে।
২০০২ সালে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেন ওয়াটসনের অভিষেক হয়েছিল, তখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্মই হয়নি। ২০ বছর বয়সে ক্রিকেট শুরু করেন অসি অলরাউন্ডার। পাকিস্তা্নের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে যখন এসে উপনীত হলেন ওয়াটসন, তখন তার বয়স ৩৪ এবং দুই সন্তানের জনক।
হঠাৎ কেন অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন ওয়াটসন? কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্মশালায় এক সুন্দর সকালে ঘুম থেকে উঠে কেন জানি মনে হলো, অবসরের সিদ্ধান্তটা এবার নেয়া উচিৎ। ভাবলাম, এটাই সঠিক সময়। অস্ট্রেলিয়ার মত বড় একটি দলের স্কোয়াডে থাকাটা সব সময়ই উপভোগ করছি। তবে সময়টা এখন ভিন্ন। যাদের সঙ্গে খেলে এ পর্যায়ে এসেছি তারা কেউই এখন দলে নেই। তাই মনে হয়েছে আমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিচ্ছি।’
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি বিশ্বকাপে খেলেছেন ওয়াটসন। এর মধ্যে জিতেছেন দুটি বিশ্বকাপ। এমনকি ২০০৬ ও ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওয়াটসন হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
ক্যারিয়ারে খেলেছেন ৫৯টি টেস্ট। ৩৫.১৯ গড়ে রান করেছেন ৩৭৩১। সর্বোচ্চ ১৭৬, সেঞ্চুরি ৪টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ২৪টি। উইকেট নিয়েছেন ৭৫টি। ওয়ানডে খেলেছেন ১৯০টি। ৪০.৫৪ গড়ে রান করেছেন ৫৭৫৭। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৮৫। সেঞ্চুরি ৯টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ৩৩টি। উইকেট নিয়েছেন ১৬৮টি।
এখনও পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৫৬টি। রান করেছেন ১৪০০। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৪। গড় ২৮ করে। উইকেট নিয়েছেন ৪৬টি।
0 coment rios: