স্বদেশসময়
টোয়েন্টিফোর ডটকম
মধু
আর আমরা মধ্য বয়সে এসেও মায়েদের বক্তব্য- প্রতিদিন এক চামচ মধু খাওয়া চাই-ই চাই। শুধু মায়েরা নন, আমরাও হয়ত জানি না যে- নিজেদের অজান্তে কত পুষ্টিকর একটি খাদ্যের অভ্যাস তৈরি করছি। শরীর সুস্থ রাখার জন্য মধুর ভূমিকা অনেক।
প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেকভাবে মধু ব্যবহার হয়ে আসছে। মিষ্ট খাবার হিসেবে, কখনো চিকিৎসা ক্ষেত্রে, আবার কখনো রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার অতুলনীয়।
তারপরও শরীরের সুস্থতায় ও অসুখ-বিসুখ নিরাময়ে মধুর বহুমুখী ব্যবহারের অনেক কিছু আমাদের অজানা।
মধুর বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : এক গ্লাস হালকা গরম পানি নিন। একটি মাঝারি সাইজের লেবুর সম্পূর্ণ রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ মধু মেশান। এক চিমটি দারুচিনির গুঁড়া পানিতে দিন এবং ভালো করে মিশিয়ে খেয়ে নিন।
কাশি নিরাময় : চার চা চামচ লেবুর রস, হাফ চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া এবং দুই চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। যখন কাশি হবে, দিনে তিন থেকে চার বার এক চা চামচ করে মিশ্রণটি খেয়ে নিবেন। এটি কাশি নিরাময় করতে অনেক সাহায্য করবে।
ওজন কমান : বর্তমানে ওজন বৃদ্ধি বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওজন কমানোর জন্য কত কি না করি। মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে হাফ চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ঠান্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। ঠান্ডা হয়ে এলে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে শুরু করুন, ভালো ফল পাবেন।
ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণ : এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে দুই বার খান। দেখবেন ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
দাঁতের ব্যথা কমাতে : অল্প দারুচিনি গুঁড়া এবং মধু মিশিয়ে দাঁতের যেখানে ব্যথা করছে, সরাসরি সেখানে লাগান, দেখবেন ব্যথা কমে যাবে।
সাইনাস নিয়ন্ত্রণ : যখন সাইনাসের ব্যথা হবে- দুই টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এবং এক টেবিল চামচ মধু, ২৫০ মি.লি. হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নিন। আশা করি ব্যথা কমে যাবে।
উপরোক্ত ব্যবহার ছাড়াও মধু ত্বকের জন্য উপকারী। এ ছাড়া প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দুই টেবিল চামচ মধু খেলে ঘুম ভালো হয়। সকালে দুই টেবিল চামচ মধু আপনার হৃদপিণ্ডকে করবে সুরক্ষিত।
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট
0 coment rios: