এরা হলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির সহকারী মহাব্যবস্থাপক ইকরামুল বারী,
এমারেল্ড ড্রেস লিমিটেডের মালিক সৈয়দ হাসিবুল গনি, এশিয়ান শিপিং বিডি-এর
মালিক মো. আকবর হোসেন এবং ফার্সি ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড-এর ব্যবস্থাপনা
পরিচালক ফয়জুন্নবী চৌধুরী।
রোববার রাতে গ্রেপ্তারের পর সোমবার
আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
হেফাজতে চেয়েছে দুদক, সেই আবেদনের শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।
দুদকের একটি দল সোমবার ভোররাতে এদের তিনজনকে থানায় এনেছিল বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ওসি মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, “রাত ৩টার দিকে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল, দুপুরে দুদক টিম এসে তাদের নিয়ে যায়।”
দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, হাসিবুল গণি ছাড়া অন্য তিনজনকে থানায় নেওয়া হয়েছিল।
দুদকের সহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন বলেন,
“দুপুর ২টার দিকে থানা থেকে দুদক অফিসে নিয়ে আনা হয় তাদের। এরপর বিকাল ৪টার
দিকে সবাইকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।”দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল
হোসেনের নেতৃত্বে উত্তরা, বারিধারা, ধানমণ্ডি ও মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে
ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে কমিশন কর্মকর্তারা জানান।
বেসিক ব্যাংকের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদক যে ৫৬টি মামলা করেছে, তাতে আসামির তালিকায় এই চারজনের নাম রয়েছে।
২০০৯
সালে বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা, গুলশান ও শান্তিনগর এই তিন শাখা থেকে প্রায়
সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
এরপর প্রায় ৫
বছর পর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে মোট ১৬৫ জনকে আসামি করে রাজধানীর বিভিন্ন
থানায় মামলাগুলো হয়। আসামিদের মধ্যে ২৬ জন ব্যাংক কর্মকর্তা।
নতুন করে গ্রেপ্তার চার আসামিকে ঢাকার হাকিম আদালতে নিয়ে সাত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪৯ দিন হেফাজতের আবেদন করে দুদক।
দুদকের
প্রসিকিউশন বিভাগের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শহীদুর রহমান বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাকিম মারুফ হোসেন আগামী বৃহস্পতিবার সে
আবেদনগুলো শুনানির জন্য দিন ঠিক করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।”
0 coment rios: