বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

মগবাজার-সাতরাস্তা ফ্লাইওভারের একাংশ খুলে দেয়া হচ্ছে



মগবাজার-সাতরাস্তা ফ্লাইওভারের একাংশ খুলে দেয়া হচ্ছে
স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ৩ দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একাংশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্লাইওভারটির তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত ২ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করবেন।

ফ্লাইওভারের এই অংশটি ভারতের সিমপ্লেক্স ও বাংলাদেশের নাভানা যৌথভাবে নির্মাণ করেছে। এতে খরচ হয়েছে ২১৩ কোটি টাকা। ফ্লাইওভার বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) জানিয়েছে, ফ্লাইওভারের বাকি অংশ বাংলামোটর-মৌচাক চলতি বছরের জুনে এবং রামপুরা-মৌচাক হয়ে শান্তিনগর ও রাজারবাগ অংশ ডিসেম্বরে চালু হবে।
আজ উদ্বোধনের পর ফ্লাইওভারের এই অংশটি চালু হলে সাতরাস্তা থেকে যানবাহন খুব অল্প সময়ে রমনা প্রান্তে যাওয়া-আসা করতে পারবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) খান মোহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, ফ্লাইওভার চালুর ফলে মগবাজার রেলক্রসিং এড়িয়ে এক টানে মগবাজার পার হওয়া যাবে। আগে যদি সাতরাস্তা থেকে রমনা আসতে এক ঘণ্টা সময় লাগত, এখন লাগবে ৫ মিনিট।
জানা গেছে, মগবাজার-মৌচাক ও মৌচাক-হাজিপাড়া-কাকরাইল ফ্লাইওভার প্রকল্প দু’টি গত ২০১১ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু হয়, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালের নভেম্বরে। তবে ড্রয়িং-ডিজাইনসহ বিভিন্ন ইউটিলিটি সরবরাহে সমন্বয়ের অভাব ও সঠিক নকশা পরিবর্তন করায় অতিরিক্ত আরও ২ বছর সময় ব্যয় হচ্ছে।  প্রথমে এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি টাকা। যা এখন বেড়ে হাজার কোটি টাকার ওপরে চলে গেছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এর নির্মাণ কাজ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার কথা ছিল। এখন ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এলজিইডির সূত্র জানায়, ৮ দশমিক ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভার নির্মাণে প্রথমে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন রয়েছে ২০০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এছাড়া সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) থেকে ৩৭৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও ওপেন ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) থেকে ১৯৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে নেয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির দু’টি প্যাকেজের জন্য ২০১২ সালের নভেম্বরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে এলজিইডি। ডব্লিউ-৪ প্যাকেজের ২ দশমিক ১ কিলোমিটারের ঠিকাদার হিসেবে কাজ পায় ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও দেশীয় নাভানা কন্সট্রাকশনের যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান সিমপ্লেক্স-নাভানা জেভি। ডব্লিউ-৬ প্যাকেজের ২ দশমিক ২ কিলোমিটার অংশের ঠিকাদার চীনের মেটালারজিক্যাল কনস্ট্রকাশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন।
এদিকে প্রকল্প অনুমোদিত থেকে প্রায় ৪৪৬ দশমিক ১৯ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ২১৮ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত ৪৪৬ দশমিক ১৯ কোটি টাকা খরচের মধ্যে জিওবি ব্যয় ২৪১ দশমিক ২৬ কোটি টাকা, পরামর্শক বাবদ ব্যয় ১৬ কোটি টাকা এবং ফ্লাইওভার নির্মাণ বাবদ ২৫৭ কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়া তেজগাঁও-পান্থপথ লিংক রোড এফডিসি গেটের পরিবর্তে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত ৪৫০ মিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এতে করে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত যাচ্ছে ফ্লাইওভারটি। এ খাতে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় ৮ দশমিক ৭০ কিলোমিটার ফ্লাইওভার, ৩ হাজার ৮৪৩ দশমিক ৭০ বর্গমিটার অবকাঠামো নির্মাণসহ দু’টি ডাবল কেবিন পিকআপ কেনা হয়। এছাড়া ৪০ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: