রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এবিষয়ে ৫৭৬ কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা মূল্যের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মেট্রোরেল
প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোফাজ্জেল হোসেন ও টোকিও কনস্ট্রাকশন
কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি হিরোশি আসাকামি চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি
অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উত্তরা ৩য় ফেজ
এলাকায় মাটি ভরাট, ভূমি উন্নয়ন ও মেট্রোরেল ডিপো নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ
সম্পাদন করবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এপ্রিলের শেষে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন।
মেট্রোরেলের
রুট ও শব্দদূষণের শঙ্কার বিষয়ে জানতে তিনি বলেন, “মেট্রোরেল রুটে
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা শব্দ ও কম্পননিরোধক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা
হবে।
“শব্দ প্রতিরোধে দেয়ালে স্থাপন করা হবে নয়েজ ব্যারিয়ার। এর ফলে শব্দমাত্রা
উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমে যাবে। মেট্রোরেলের চলাচলের কারণে এই এলাকায়
বিদ্যমান শব্দের তীব্রতা কোনোভাবেই বাড়বে না।”আগামী ব্ছর আরও দুটি মেট্রোরেল রুটের (এমআরটি-১ এবং এমআরটি-৫) নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান সড়কমন্ত্রী।
২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা।
এই
রুটে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে- উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা
(দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয়
সরণি, ফার্মগেইট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম ও
বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয়
স্থায়ী কমিটির সদস্য একাব্বর হোসেন, নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশে নিযুক্ত
জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, জাইকার চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ মিকিও
হাতেইদা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব
এমএএন ছিদ্দিক, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক মো. কায়কোবাদ হোসেনসহ মন্ত্রণালয়
ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
0 coment rios: