স্বদেশসময়
গত ৯ মার্চ বিশ্বকাপের প্রথমপর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে তাসকিন ও সানীর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। পরে ১২ মার্চ স্পিন কোচ রুয়ান কালপাগের সঙ্গে চেন্নাইয়ের স্যার রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন সানী।
আর ১৫ মার্চ বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে চেন্নাইয়ে গিয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন তাসকিন। পরীক্ষায় দুজনের বোলিং অ্যাকশনই অবৈধ প্রমাণিত হয়। সানীর বিষয়টি মেনে নিলেও তাসকিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশ দলসহ বিসিবির কেউই। তাই তাসকিনের শাস্তি পুনর্বিবেচনার জন্য আইসিসির কাছে আপিল করা হয়।
তবে গত বুধবার সেই আপিল খারিজ করে দিয়ে তাসকিনের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে আইসিসির জুডিশিয়াল কমিশনার। ফলে বিশ্বকাপে খেলার ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকুও শেষ হয়ে যায় দারুণ ফর্মে থাকা তাসকিনের।
বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু থেকে দলের সঙ্গে কলকাতায় আসেন তাসকিন। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে দেশে ফিরলেন তিনি। এর আগে গত বুধবার দেশে ফেরেন স্পিনার আরাফাত সানী।
এখন যথাযথ শুদ্ধি প্রক্রিয়া শেষে তাসকিন ও সানী যে কোনো সময় তাদের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করানোর জন্য আইসিসির কাছে আবেদন করতে পারবেন। আইসিসি অনুমোদিত যেকোনো পরীক্ষাগারে নতুন পরীক্ষায় বোলিং অ্যাকশনের বিশুদ্ধতা প্রমাণ করতে পারলে তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে আইসিসি।
0 coment rios: