বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

স্টাম্পড হয়ে ফিরলেন সাব্বির

শুরুতেই ফিরেন মোহাম্মদ মিঠুন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এগিয়ে এসে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। কিন্তু সীমানা পার করতে পারেননি, হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ধরা পড়েন তিনি।
রবিন্দ্র জাদেজার বলে স্টাম্পড হয়ে ফিরেন বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দেওয়া তামিম ইকবাল (৩২ বলে ৩৫ রান)।
স্টাম্পড হয়ে ফিরেন সাব্বির রহমান (১৫ বলে ২৬ রান)। সুরেশ রায়নার ওয়াইড বল খেলতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়েছিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। মহেন্দ্র সিং ধোনি দারুণ উপস্থিত বুদ্ধিতে স্টাম্প ভেঙে দেন 
সাত ম্যাচ পর টস জয়ের স্বস্তি। আরও বড় স্বস্তি হয়ে এলো বোলারদের নিয়ন্ত্রিত শুরু। শরীরী ভাষায় চেনা বারুদ, ফিল্ডিং হলো দুর্দান্ত। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্ব ক্ষুরধার। সব মিলিয়ে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে বাংলাদেশ থামাল দেড়শর নিচেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টেনে প্রথম জয়ের অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশ ভারতকে আটকে দিয়েছে ১৪৬ রানে।
শুরু থেকেই বারবার বোলার বদলে ভারতীয় ওপেনারদের থিতু হতে দেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন বোলররাও। প্রথম ৫ ওভারে উইকেট না এলেও রোহিত ও ধাওয়ানের মতো দুই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান তুলতে পেরেছেন মাত্র ২৭ রান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মুস্তাফিজের দুটি বল জুতসই জায়গায় পেয়ে ছক্কা মারেন দুই ব্যাটসম্যান। জবাবটাও দ্রুতই দেন মুস্তাফিজ, ওভারের শেষ বলে ফিরিয়ে দেন রোহিতকে (১৮)।
ওই ডেলিভারির ঠিক আগেই ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে সাব্বিরকে বৃত্তের ভেতরে টেনে আনেন মাশরাফি। ফাঁকা রেখে দেন অন সাইডে পুরো সীমানা। ফাঁদে পা দিয়ে সীমানা পার করতে গিয়েছিলেন রোহিত, ধরা পড়েন ভেতরে আনা সেই সাব্বিরের হাতেই।
পরের ওভারেই ফুল লেংথ এক বলে সাকিব ফেরান ধাওয়ানকে (২৩)। উজ্জীবিত বাংলাদেশের বোলাররা চেপে ধরে নতুন দুই ব্যাটসম্যান কোহলি ও রায়নাকে। টানা ২৯ বলে ছিল না বাউন্ডারি।
রানের জন্য ছটফট করতে থাকা দুই ব্যাটসম্যানই পান জীবন, যদিও দুটি ক্যাচই ছিল ভীষণ কঠিন। কোহলির ফিরতি ক্যাচ ফলো থ্রোতে হাতে জমাতে পারেননি আল আমিন। এক বল পরই স্কয়ার লেগ সীমানায় বল হাতে নিতে পারেননি শুভাগত, রায়না পান ছক্কা। পরের বলেই মারেন আরেকটি ছয়।
শুভাগতর ফুলটসে কোহলির ছক্কায় জুটি স্পর্শ করে পঞ্চাশ। জুটি থেমেছে ওখানেই, পরের বলেই স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড ভারতের সেরা ব্যাটসম্যান (২৪)।
আগের ওভারে দুই ছক্কার জবাব দিলেন আল আমিন টানা দুই বলে উইকেট নিয়ে। রায়্নার (২৩ বলে ৩০) সঙ্গে দ্বৈরথে জিতেছেন সাব্বিরের ক্যাচ বানিয়ে। রান বাড়াতে প্রমোশন পাওয়া হার্দিক পান্ডিয়া (৭ বলে ১৫) বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন। তিনিও শিকার আল আমিনের। যদিও এই উইকেটকে শুধুই নিজের দাবি করতে পারেন সৌম্য সরকার।
পান্ডিয়ার পুল শটে টাইমিং ছিল দুর্দান্ত, বল সীমানায় যাচ্ছিল গোলার বেগে। সৌম্য ছুটলেন, বল যখন নিচু হয়ে স্পর্শ করতে যাচ্ছেছ ঘাস, সৌম্য ঝাঁপালেন চিতার ক্ষিপ্রতায়। এই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ক্যাচ!
জোড়া শিকারে তখন দারুণ উজ্জীবিত দল। মাহমুদউল্লাহ প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিলেন যুবরাজ সিংকে (৩)। রানের গতিও গেল থমকে। শেষ দিকেও টানা ১৯ বলে হলো না বাউন্ডারি।
শেষের আগের ওভারে অবশ্য ৩টি চার গুণেছেন আল আমিন। তবে শেষ ওভারে ধোনিকে বড় কিছু করতে দেননি মুস্তাফিজ। রানটা তাই থাকল বাংলাদেশের নাগালেই।
রান তাড়ার আদর্শ মাঠে ম্যাচের শুরুতে এই লক্ষ্যের কথা বললে নিশ্চয়ই হাসিমুখেই মেনে নিত বাংলাদেশ!

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: