রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

স্বাধীনতা দিবস এবং কিছু কথা



স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম


Ibnul Syed Rana
Chairman & CEO at Nirapad Development Foundation

সারাদিন ঘরে বসে টেলিভিশন এর মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের খবর, দৃশ্য দেখছিলাম, বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যার পর মনে হলো একটু ঘুরে আসি, হেটে আসি এবং স্বাধীনতা দিবসের উৎসব আয়োজন দেখে আসি। আমি আমার স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে রওনা হলাম।
১। তেকুজনিপাড়া বাসা থেকে ফুটভারব্রীজ পার হলেই বিজয়স্বরণী রাস্তার পাশে নভো থিয়েটার প্রাঙ্গন। হাটার জন্য ফুটপাতে অনেক মনুষ এলোপাথারি দাড়িয়ে বসে হাটা হাটিতে আছে। এতো মানুষ দেখে একটু আনন্দই লাগলো। লক্ষ করলাম নভো থিয়েটার এর ভাউন্ডারী প্রাচীরের বাহিরে সবাই আছে। ভিতরে শুধু মাত্র যারা মোভি দেখতে টিকেট কাটছেন তারাই প্রবেশ করে ভিতরে চলে গেছেন। নভো থিয়েটার প্রাঙ্গনটা অনেক বড় পরিষরে, দেখতে অনেক সুন্দর এবং ভাল লাগার মতো একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। কিন্তু জন সাধারনের জন্য উন্মোক্ত নয়। শুধু মাত্র বানিজ্যিক কাজেই এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। স্বাধীনতা দিবসেও জন সাধারণ এখানে পরাধীন।
২। নভোথিয়েটার থেকে একটু সামনে আগাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় দৃঢ় প্রত্যয়কারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামরিক যাদুঘর, যুদ্ধে ব্যবহৃত সকল যুদ্ধাশ্র এই যাদুঘরে রয়েছে। এটি ও দেখার মতো একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপনা। লক্ষ করলাম এটিতে প্রায় সময়ই বিভিন্ন ফেসটেবল অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেয়া হয়। তখন এটিকে যার পর নাই আলোক সজ্জ্যায় সজ্জিত করা হয় বিভিন্ন অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিলকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। কিন্তু আজ স্বাধীনতা দিবসে একটি বাতিও জ্বালানো হলো না, একটুও সাজানো হলো না দিবসকে কেন্দ্র করে। কেন এই উদাসিনতা? তা হলে কি ধরে নিব সামরিক যাদুঘর এলাকাটি শুধুমাত্র বানিজ্যিক ফায়দা হাসিলের জন্য প্রতিষ্টিত করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে তাদেও কিছুই করনীয় নেই?
৩। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন সারা দেশের মানুষের কাছে একটি আকর্ষনীয় দেখার মতো স্থাপনা। এটি দেখার জন্য সকল শিশু থেকে আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকল মানুষের উৎসুক দৃষ্টি নিবদ্ধ। এটি দেখার জন্য আগ্রহ সবার। যে কোন জাতীয় দিবস উৎসব পার্বণে এ ধরণের স্থাপনাগুলো সর্ব সাধারণের দেখার জন্য খুলে দেয়া যাইতে পারে। রক্ষনা বেক্ষনের দোহাই দিয়ে জন সাধারণকে তার আগ্রহের জায়গাটায় হতাশ করা সমিচিন নহে। সরকার মহোদয়গন বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারেন। আলোকসজ্জ্যাসহ জাতীয় সংসদ ভবন খুবই দৃষ্টি নন্দন। সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজা খুলে দিয়ে মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ থেকে সাধারণ মানুষকে সংসদ ভবনটি ঘুরে দেখার শিশুদের জানাবার জন্য এই দিবসটি সহায়ক হতে পারতো। তা না হয়ে প্রতি টি স্থাপনায় তার আবদ্ধতা দেখে শিশুর মনে দেশের স্থাপনা এবং দিবস সম্পর্কে একটি বিরুপ ধারণা তৈরী হয়েছে এবং তৈরী হতে থাকবে যদি বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন না হয়।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: