বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬

দেশকে অস্থিতিশীল করতেই এসব হত্যাকাণ্ড : প্রধানমন্ত্রী

দেশকে অস্থিতিশীল করতেই এসব হত্যাকাণ্ড : প্রধানমন্ত্রী
স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ডেস্ক রিপোর্ট :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্যই ইমাম, পুরোহিত ও ফাদারদের লক্ষ্য করে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে।
  তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বের যে কোনো স্থানে প্রতিটি হত্যাকাণ্ড এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই। আমরা দেশে এবং বিশ্বের যে কোনো স্থানে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলোর পর্যালোচনা করতে গঠিত মনিটরিং কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে বাংলাদেশি দম্পতি এবং ওহাইও রাজ্যে একই পরিবারের আট সদসস্যের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করতে পারবে।

দেশে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে প্রকাশ্যে মানুষ পুড়িয়ে মারার সঙ্গে জড়িত অশুভ শক্তির হাত এসব হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো খুনের ঘটনাগুলো তদন্তের কাজে লিপ্ত রয়েছে এবং তদন্তের মাধ্যমে সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, হত্যাকারীরা মসজিদে যাওয়ার পরিবর্তে নামাজের সময়ে মানুষকে হত্যা করতে গেছে। প্রকৃতপক্ষে, হত্যাকারীদের আল্লাহর ওপর বিশ্বাস এবং কোনো জাতীয় পরিচয় নেই।

তিনি বলেন, আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম বিচারক। তাহলে, তারা কিভাবে ধর্ম রক্ষার নামে কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করে। তিনি এই ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দশটি ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। প্রকল্পগুলো হচ্ছে- পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, পদ্মা সেতু রেল যোগাযোগ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপালে মৈত্রী সুপার তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা চালিত বিদ্যুৎ প্রকল্প, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (মেট্রো রেল), এলএনজি টারমিনাল নির্মাণ প্রকল্প, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প, দোহাজারি থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্তে গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গজ রেল লাইন প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে চায়। কারণ, দেশের সার্বিক উন্নয়ন এগুলোর বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণাংশে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এসব এলাকা দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত ছিল। তিনি বলেন, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা বজায় রাখতে হবে।

২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার আরো ১০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকারের পরিকল্পনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সর্বাধিক স্বচ্ছতার সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

তথ্যসূত্র : বাসস

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: