স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে নিয়োগ সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বিসিএস- এর আদলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়। এ প্রক্রিয়ায় সরকারি ব্যাংকে অফিসার পদে নিয়োগের জন্য কোনো প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি কোন ব্যাংকে নিয়োগ পেতে চান তা পছন্দ করতে পারবেন। এ জন্য এসব ব্যাংকের জন্য একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, এখন থেকে ব্যাংকগুলো তাদের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য পৃথকভাবে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না। কারণ, এই নীতিমালার আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে অফিসার পদে কত জনবল প্রয়োজন তার একটি চাহিদাপত্র ‘ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির (বিআরসি) কাছে পাঠাতে হবে। সবগুলো ব্যাংকের চাহিদাপত্র একসঙ্গে বিআরসি পত্রিকায় ও ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে দরখাস্ত আহ্বান করবে। অভিন্ন প্রশ্নপত্রে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিবছর এই কমিটি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা নেবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সরকারি ব্যাংকে নিয়োগ পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বিপুল সাড়া লক্ষ্য করা গেছে। যেমন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসারের ৭০১টি শূন্য পদের বিপরীতে দুই লাখ ৬২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। একইভাবে ৮২০টি অফিসার পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে দুই লাখ ৭৫ হাজার। অফিসার পদে প্রায় একহাজার শূন্য পদে আবেদন জমা পড়েছে দুই লাখ ৩৪ হাজার। এই পদে এখন পর্যন্ত আবেদন জমা পড়ছে।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে একটি অভিন্ন নীতিমালার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত সব ব্যাংকে অফিসার পদে বিআরসির মাধ্যমে নিয়োগ হবে। এখন বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক পৃথকভাবে তার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এতে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী সব ব্যাংকে পৃথক পৃথকভাবে আবেদন করেন। এতে তাদের ব্যয় বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যাংক তাদের নিয়োগের জন্য পৃথক নিয়োগ নীতিমালাও অনুসরণ করে। কোনো ব্যাংক হয়তো একটি পদের জন্য সব ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণি চেয়ে বসে। আবার কোনো ব্যাংক একই পদের জন্য প্রথম শ্রেণির পাশাপাশি দ্বিতীয় শ্রেণিও চেয়ে থাকে। এতে এক ধরনের বৈষম্য দেখা দেয়। এটি পরিবর্তনের দরকার রয়েছে। তাই সব ব্যাংকের জন্য একটি অভিন্ন নীতিমালার প্রয়োজন।’
এই নীতিমালার আওতায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক আগামী এক বছরে তাদের অফিসার পদে কত লোক দরকার তার একটি চাহিদাপত্র বিআরসির কাছে পাঠাবে। বিআরসি সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ আবেদন চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে।
0 coment rios: