স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ইংল্যান্ড।
রোববার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে শিরোপা
নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে
ইংল্যান্ড।
ক্যারিবীয় স্পিনার স্যামুয়েল বদ্রির করা
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে ফিরে যান জেসন রয় (০)। টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপ ফাইনালে এই প্রথম এত দ্রুত প্রথম উইকেট পড়ল। এর আগে ২০০৯ ও ২০১২
ফাইনালে পঞ্চম বলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটেছিল।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আন্দ্রে রাসেলের
বলে বদ্রিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান অ্যালেক্স হেলস (১)। অর্থাৎ দুই ওপেনার
মিলে করেন মাত্র ১ রান। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে একবারই ইংল্যান্ডের দুই
ওপেনার মিলে মাত্র ১ রান করেছিলেন, ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টারে অস্ট্রেলিয়ার
বিপক্ষে।
দুই ওপেনারকে হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতে
না-উঠতেই আরেকটি ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। বদ্রির স্পিন বিষে নীল এবার অধিনায়ক
ইয়ান মরগান। ক্রিস গেইলকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ইংলিশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে
আসে মাত্র ৫ রান।
শুরুতেই ৩ উইকেটে হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে
জো রুট ও জস বাটলার মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এগারোতম ওভারে স্পিনার
সুলেমান বেনকে পরপর দুই বলে সীমানার ওপারে আছড়ে ফেলেন বাটলার।
অবশ্য পরের ওভারেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা
বাটলারকে ফিরিয়ে ৬১ রানের জুটি ভাঙেন কার্লোস ব্রাফেট। মাত্র ২২ বলে ৩
ছক্কা ও এক চারে ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন বাটলার।
এরপর বেন স্টোকসকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর
১০০ পার করেন রুট। তিনি নিজে তুলে নেন ফিফটি। কিন্তু এর পরই মাত্র ১ রান
তুলতেই দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে আবার বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড।
১৪তম ওভারের চতুর্থ ও শেষ বলে যথাক্রমে
স্টোকস (১৩) ও মঈন আলীকে (০) সাজঘরের পথ দেখান ডোয়াইন ব্রাভো। পরের ওভারে
ব্রাফেটের বলে ফিরে যান একপ্রান্ত আগলে রাখা রুট (৫৪)। ৩৬ বলে ৭টি চারের
সাহায্যে ৫৪ রানের ইনিংসটি সাজান এই ডানহাতি।
শেষ দিকে ডেভিড উইলির ১৪ বলে ২১ ও ক্রিস
জর্ডানের অপরাজিত ১২ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৫ রানের
লড়াইয়ের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড।
২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের
সেরা বোলার কার্লোস ব্রাফেট। ডোয়াইন ব্রাভোও ৩ উইকেট নেন, তবে তিনি রান খরচ
করেন ৩৭। এ ছাড়া স্যামুয়েল বদ্রি ১৬ রানে ২টি ও আন্দ্রে রাসেল ২১ রানে নেন
একটি উইকেট।
দুই দলের সামনেই রয়েছে দ্বিতীয় বারের মতো
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের হাতছানি। এর আগে ২০১০ সালে ইংল্যান্ড ও
২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিরোপা জিতেছিল।
0 coment rios: