বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬

মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, আর নাম দেওয়া হচ্ছে আইএসের : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশে আইএস প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

২৮ এপ্রিল, স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম: : সাম্প্রতিক হত্যাকা-গুলোতে আইএসের সম্পৃক্ততার খবর নাকচ করে দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দু’একজন মানুষ হত্যা করে বাংলাদেশে কোনদিন আইএসের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, আর নাম দেওয়া হচ্ছে আইএসের। আরে বাবা, আইএসটা কোথায়? আমাদের এ আলেম-ওলেমারা বসে আছেন, একজনও বলেন না যে তারা আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা তো একজন আলেম-ওলেমা… একটা মাদ্রাসা একটা মসজিদে আমরা আইএসের অস্তিত্বের কথা শুনিনি। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ইসলাম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিনিধিদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন। জঙ্গিবাদ দমনে সচেতনতা তৈরির জন্য পুলিশের সাম্প্রতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে এ সম্প্রীতি সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক ও ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াও উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে কী আছে? আমাদের এখানে কিছু হোমগ্রোন জঙ্গি রয়েছে। তারা নানান ধরণের প্রচেষ্টা নানানভাবে চালিয়েছে। এখনও মাঝে মাঝে চালায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার  পরও এ দেশের মানুষের নতি স্বীকার না করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে কামাল বলেন, এখন দু’একটা মানুষ হত্যা করে, তাদের আইএস মতামত এখানে প্রতিষ্ঠিত করবে- কোন দিনও সম্ভব নয়। কাজেই যারা এ কুকর্মে নিয়োজিত আছেন, তাদের বলব- এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে সঠিক পথে আসেন। পঞ্চগড়ের মন্দিরে হামলা চালিয়ে পুরোহিত হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার জঙ্গিরা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, “আগে মানুষ পুড়িয়ে, বাস পুড়িয়ে, শ্রমিক মেরে একটা প্রচেষ্টা চলছিল। এখন হঠাৎ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। আমাদের অগ্রযাত্রাকে থমকে দেওয়ার জন্য এ প্রচেষ্টা।
পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেন, যারা শুধু দেশ নয়, বিশ্ব নিয়ে চিন্তা করেন, তাদের বলব, এখানে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে।… মায়ের চেয়ে মাসির কান্না, মাসির মায়া বেশি- সেটাও আমরা দেখেছি। জুলহাজ মান্নান হত্যার তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার আগ্রহের বিষয়ে ইংগিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকার, পুলিশ, প্রশাসন থাকার পরও অনেক দেশ মায়া কান্না দেখিয়ে কাছে আসতে চায়, যেমনটা সিরিয়া, ইরাকের মতো দেশে ঘটেছিল।
শহীদুল হক বলেন, আমরা যে দেশে বসবাস করি, আমার দেশের ধর্মীয়, নৈতিক, সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি দেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিৎ। যারা এই দেশে বসবাস করে, তাদেরও সেই শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিৎ। যে সমাজ যে জিনিস সমর্থন করে না, পছন্দ করে না, সেখানে যদি কৌশলে বহিঃশক্তি দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমি কী বলতে চেয়েছি- তা আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: