সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৬

পরলোকে শহীদুল ইসলাম খোকন



    
স্বদেশসময়টোয়েন্টিফোরডটকমঃ
চলে গেলেন চলচ্চিত্র পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন সোমবার ( এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টায় রাজধানীর উত্তরায় আধুনিক হাসপাতালে মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন) এখানেই দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি অভিনেতা-প্রযোজক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার সহকারী হিসেবে খোকনের চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু হয় দীর্ঘ দশ বছর তিনি সোহেল রানার সহকারী হিসেবে কাজ করেন রক্তের বন্দী চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খোকন তার পরিচালনার অধ্যায় শুরু করেন কিন্তু ছবিটি সাফল্য অর্জন করতে পারে নি তার পরিচালিত দ্বিতীয় ছবিটিও ব্যর্থ হয় এরপর সোহেল রানার ছোট ভাই রুবেলকে নিয়ে খোকন তৈরী করেন লড়াকু বাজিমাৎ করেন খোকন তার লড়াকু দিয়ে 
51283_e1
 তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি তাকে মার্শাল আর্ট ভিত্তিক এবং অ্যাকশন চলচ্চিত্র নির্মান করে খোকন বাংলা চলচ্চিত্রে অনেক নতুন মুখ হাজির করেন এদের মধ্যে ড্যানি সিডাক, সিরাজ পান্না, ইলিয়াস কোবরা, চিত্রনায়িকা মিশেলা, হুমায়ূন ফরিদী অন্যতম সমাজের সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং বিরোধী শক্তির অপচেষ্টাকে খোকন তার চলচ্চিত্রে তুলে ধরেছেন নানাভাবে ১৯৯২ সালে উত্থান পতন চলচ্চিত্রে খোকন নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করলেও দর্শকপ্রিয়তা পান নি পরবর্তীতে পরিচালনায় প্রতিষ্ঠা লাভ করলে আর অভিনয়ে ফিরে যাওয়া হয় নি তার রাজধানী চলচ্চিত্রে তিনি সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন শহিদুল ইসলাম সাচ্চু পরিচালিত মেগাবন্ড, সৌরজয় চৌধুরী পরিচালিতঅবশেষে নাটকে পরিণত হলনাটকে অভিনয় করেন ২০০৭ সালে খোকন অনুরূপ আইচের রচনায়এখনও মানুষনামের একটি টেলিফিল্ম নির্মান করেন তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন খোকন নির্মিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে রক্তের বন্দী, লড়াকু, বীরপুরুষ, বজ্রমুষ্টি, উত্থান পতন, বিশ্বপ্রেমিক, সন্ত্রাস, ঘাতক, পালাবি কোথায়, ভণ্ড, ম্যাডাম ফুলি, লাল সবুজ, টাকা চেহারা


শহীদুল ইসলাম খোকন জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৫ মে বরিশালে তার বেড়ে উঠা । তার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৪ সালে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: