মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৬

‘রমজানে বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা হলে ব্যবস্থা’


‘রমজানে বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা হলে ব্যবস্থা’
স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম: পবিত্র রমজান মাসে কেউ কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

এবার রমজানেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা বন্ধ প্রসঙ্গে সরকারি দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিয়ামত পর্যন্ত শর্ত পূরণ করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেবে বলে মনে হয় না। তারা নতুন নতুন শর্ত দিতেই থাকবে। তাই জিএসপি নিয়ে যত কম ভাবা যায়,  ততই ভালো। জিএসপি সুবিধা বহালে একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই যথেষ্ট।
  তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে জিএসপি (মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য-সুবিধা) বন্ধ করে দেয়। তারা বাংলাদেশের ওপর ১৬টি শর্তারোপ করে। একটি স্বাধীন দেশের ওপর অন্য একটি দেশ কখনোই শর্তারোপ করতে পারে না। এরপরেও সবগুলো শর্তই পূরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জিএসপি না পেলেও আমাদের কোনো ক্ষতি নেই। বাংলাদেশ এখন পোশাক শিল্প রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাবই।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশি বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ৭ হাজার ৪২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৫ হাজার ২৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৈষম্য হ্রাসে সরকার বহুবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

মন্ত্রী জানান, যে সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বৈষম্য হ্রাস এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার ইতিমধ্যে কয়েকটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই সকল আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আওতায় বাংলাদেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮টি দেশসহ বিশ্বের ৫২টি দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাচ্ছে। এ ছাড়া বাণিজ্য বৈষম্য হ্রাসে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য চুক্তিটি এমনিভাবে সংশোধন করা হয়েছে, যাতে ভারতের মধ্য দিয়ে তৃতীয় দেশ যথা নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন করা যায়।

তোফায়েল আহমেদ আরও জানান, আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের মধ্যে বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ, ট্রানজিট ও কানেকটিভিটি বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমারকে নিয়ে আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট গঠন করা হয়েছে, যা এ অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: