স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মান ভেদে পাঁচ থেকে ১০ টাকা করে কমেছে পেঁয়াজের দাম। কমেছে রসুনেরও দাম। বিক্রেতারা বলছেন, প্রায় দুই মাস বাড়তি থাকার পর খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমছে।
এর কারণ হিসেবে বিক্রেতারা জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্য দুটির মৌসুম শুরু হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলের পেঁয়াজ ও রসুন বাজারে আসতে শুরু করেছে। এতে সরবরাহ বাড়ছে। তাই পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমতে শুরু করেছে। যদিও এটি টিসিবি’র নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা বেশি।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০-৩৫ টাকা। গত সপ্তাহে এই পণ্যটি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর আমদানি করা বড় পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মান ভেদে প্রতি কেজি প্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা করে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। গত সপ্তাহে এই পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৪০ টাকা। আর আমদানি করা বড় পেঁয়াজ ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ২০ টাকা।
দেশি রসুন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা দরে। একই সঙ্গে কমেছে আমদানি করা বড় রসুনের দামও। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে এটি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। গত সপ্তাহে পণ্যটি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা রসুন এখন বাজারে কম পাওয়া যায়। এর চাহিদাও কম। তবে দেশে উৎপাদিত রসুন এখন রাজধানীতে পাওয়া যাচ্ছে। তাই দামও কমছে।
অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের বাজার অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহে চিনির দাম বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা বেড়েছিল। এই সপ্তাহে ওই দামই স্থির রয়েছে। পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চিনি বিক্রি হচ্ছে ২২৭০ টাকা। মুগ ও মসুর ডালের দাম ১৫দিন আগে বাড়তি ছিল। চলতি সপ্তাহে ডালের দাম কমেছে। স্থির রয়েছে সয়াবিন তেলের দাম। খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮৫ টাকা দরে। আর প্যাকেট তেল ৯০ টাকায়। তবে বোতলের তেল ৯৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মুদি পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি খোলা আটা ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা, দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটা ৭০ থেকে ৭২ টাকা, ময়দা ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত ময়দা ৮৮ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১০৫ টাকা, ক্যাঙ্গার ১১০ থেকে ১১৫ টাকা ও মোটা দানা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে বাজারে।
এছাড়া মসলার মধ্যে শুকনা মরিচ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা ও হলুদ ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কাঁচাবাজারে, বেশিরভাগ সবজি কেজি প্রতি ৪৫ টাকা থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মান ও আকার ভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৫৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, শিম ৪৫ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং চাল কুমড়া ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ মাছ প্রতি হালি ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পহেলা বৈশাখের উপলক্ষ্যে এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ইলিশের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, দুয়েকদিন পর থেকে আর ইলিশ পাওয়াই যাবে না। বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে স্টক করা হচ্ছে ইলিশ মাছ।
অন্য মাছের মধ্যে আকার ভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি ফার্মের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। প্রতিকেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে মুরগি, ব্রয়লার, গরুসহ সব ধরনের মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির লাল ডিম প্রতি হালি ৩২ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
0 coment rios: