রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬

সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বাবা-ছেলে দগ্ধ

সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বাবা-ছেলে দগ্ধ

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:


সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বাবা-ছেলে দগ্ধ
রাজধানীর উত্তর ইব্রাহিমপুরে সিএনজি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে বাবা-ছেলে দগ্ধ হয়েছেন।

রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উত্তর ইব্রাহিমপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ চা বিক্রেতা মো. মহসিন (৫০) ও তার ছেলে মো. মিরাজকে (১২) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল  জানান, বাবার শরীরের ২৫ এবং ছেলের শরীরের ১৫ ভাগ অংশ ঝলসে গেছে।

হাসাপাতাল সূত্র জানায়, দগ্ধ বাবা-ছেলেকে প্রথমে মিরপুরের একটি হাসপাতালে এবং পরে বিকেলে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রতিবেশী সামশুল জানান, ঘটনার সময় বাবা-ছেলে তাদের চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় এক সিএনজিচালক দোকানের সামনে গাড়ি রেখে চা খেতে বসেন। এরই মধ্যে সিএনজির সিলিন্ডার বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুনের ফুলকি এসে পড়ে চায়ের চুলায়। মুহূর্তের মধ্যে দোকানে বসে থাকা মোহসিনের গায়ে আগুন লাগে। পরে বাবাকে বাঁচাতে এসে মিরাজও দগ্ধ হন।
তামাকে বছরে মৃত্যু ১৪.৬ শতাংশ পুরুষের

তামাকে বছরে মৃত্যু ১৪.৬ শতাংশ পুরুষের

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

তামাকে বছরে মৃত্যু ১৪.৬ শতাংশ পুরুষের
 দেশে প্রতিবছর ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ ও ৫ দশমিক ৭ শতাংশ নারী তামাক ব্যবহারের কারণে মৃত্যুবরণ করছেন, যা অন্যান্য নিম্ন আয়ের দেশের গড় থেকে বেশি।

দ্য টোব্যাকো এটলাসের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া এ কথা বলেন।
৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। প্রতিবারের মতো এবারো বাংলাদেশ দিবসটি উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

স্বাস্থ্যসচিব বলেন, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন একটি ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ। যার লক্ষ্য হলো তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট রোগ, আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি সম্পর্কে জনসচেনতার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানো এবং তাদের রক্ষা করা।

তিনি বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার একদিকে যেমন জনসাধারণের জন্য হুমকি স্বরূপ, অন্যদিকে জাতীয় অর্থনীতি তথা সমৃদ্ধিরও বড় অন্তরায়।

তামাকের ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে দ্য টোব্যাকো এটলাসের রিপোর্টের তথ্য তুলে ধরে সচিব বলেন, দেশে ৪৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন। এ হিসাবে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ১৩ লাখ। যার মধ্যে ২৩ শতাংশ (২ কোটি ১৯ লাখ) ধূমপানের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার করেন এবং ২৭ দশমিক ২ শতাংশ (২ কোটি ৫৯ লাখ) ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন।

তিনি আরো বলেন, ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের প্রবণতা নারীদের মধ্যে বেশি পরিলক্ষিত হয়। দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৬৩ শতাংশ লোক অর্থাৎ ১ কোটি ১৫ লাখ কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। ৪৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষ পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন।

জনসচেতনতা ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার ক্রমশ কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন সচিব। তিনি বলেন, এজন্য সরকার, বেসরকারি সংগঠন, সুশীল সমাজ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সচিব বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকার ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করে। ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রকাশ করে। আইন ও বিধি বাস্তবায়নে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি, তামাক চাষ নিরুৎসাহিতকরণ নীতিসহ ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, এ সকল নীতি ও কর্মকাণ্ড ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।’

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে তামাকবিরোধী একটি পোস্টারের উদ্বোধন ঘোষণা করেন মনজুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এ বছর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় নির্বাচন করেছে ‘সাদামাটা মোড়ক-তামাক নিয়ন্ত্রণে আগামী দিন।’

তামাকের ব্যবহার কমাতে প্লেইন প্যাকেজিং বা সাদামাটা মোড়ক অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। যাতে সকল তামাক পণ্যের মোড়কের রং একই রকম হয়, কোম্পানির লোগো, রং কিংবা ব্র্যান্ডের ছবি এবং কোনো প্রকার প্রচারণামূলক তথ্য থাকে না।

এতে করে তামাকের প্যাকেট অত্যন্ত অনাকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। বিশ্বের অন্যান্য ৭৭টি দেশের মতো বাংলাদেশেও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধি অনুসারে ১৯ মার্চ ২০১৬ তারিখ থেকে সকল তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট ও কৌটার উভয় পাশের্ ৫০ ভাগ জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী মুদ্রণ কার্যকর হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাসুদেব গাঙ্গুলী, ডব্লিইএইচ এর প্রতিনিধি ও আধুনিকের নির্বাহী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

শনিবার, ২৮ মে, ২০১৬

প্রাণহানি বাড়লেও সিল মারা কমেছে : সিইসি

প্রাণহানি বাড়লেও সিল মারা কমেছে : সিইসি

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

প্রাণহানি বাড়লেও সিল মারা কমেছে : সিইসিইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বাড়লেও আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিলমারা কমেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

ইউপি নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে আজ শনিবার দেশের ৭১৭টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে বিকেলে রাজধানীর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

সিইসি বলেন, ‘পঞ্চম ধাপে সিল মারার ব্যাপারে উন্নতি হয়েছে। আহত-নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা যত কঠোর হই না কেন, সহিংসতা কমিয়ে আনা সম্ভব নয়, যদি জনগণের মানসিকতার পরিবর্তন না হয়।’

সিইসি বলেন, ‘৭১৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যায়ের বেশকিছু জায়গায় হানাহানির ঘটনা ঘটেছে। ভোটগ্রহণ বন্ধও করা হয়েছে কয়েকটি কেন্দ্রে। বৃষ্টি উপক্ষো করে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি ছিল। বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। সহিংসতায় কয়েক জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ঠাকরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন পোলিং কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এজন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘ইসি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছে। টিভি খবরও মনিটরিং করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের নির্দেশনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্ত অবস্থানের কারণে কোথাও আগের রাতে সিল মারার ঘটনা ঘটেনি। যেখানে অনিয়ম হয়েছে সেখানে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সহিংসতার কারণে কোথাও কোথাও কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলিও করেছে।’

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রত্যেক ধাপেই সকল ব্যবস্থা নিয়েছি। এবারও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটের পরেও তাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও কেউ যাতে পক্ষপাতমূলক আচরণ না করে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোথাও অনিয়ম সহ্য করা হবে না। অনিয়ম করে লাভ হবে না। অনিয়মের প্রতিবেদন পাওয়ার সাথে সাথে কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে এবং সশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিইসি বলেন, ‘৬ হাজার ৮৮৪ টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৩টি এ পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আরো বন্ধ করা হবে। অনিয়মের কারণে একজন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৪০ জনকে দুই লাখ টাকার বেশি জরিমানা এবং একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। প্রার্থী, দল পর্যবেক্ষক ও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে সামনের নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

সিইসিকে পদত্যাগে বিএনপির আহ্বানের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনারা রাজনৈতিক দল। উনাদের বক্তব্যের ভিত্তিতে আমার কিছু বলার নেই। উনাদের কিছু অভিযোগ জেনারালাইজড। আমরা সেগুলো নিয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিই। আরো সতর্ক থাকার জন্য এসপি, ডিসিকে নির্দেশনা দিই।’

সিইসি বলেন, ‘মারা গেছেন যারা তাদের হিসাব আপনারা রাখছেন। আমাদের কাছেও হিসাব আছে। সারা দেশে সহিংসতার আবহ বিদ্যমান। জমিজমা নিয়েও সহিংসতা করছে মানুষ। নির্বাচন নিয়েও হচ্ছে। আমি বিস্মিত হচ্ছি-কেন এমন করেন! প্রত্যেক পর্যায়ে কোনো অভিযোগ থাকলে ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন। হাইকোর্ট যেতে পারেন। কোনো জায়গায় কারো মাথায় লাঠি মারার কোনো দরকার নেই।’

তিনি বলেন, ‘যারা দেখা করতে আসেন সবাইকে বলি, পুলিশকে বলেন। তারা কেস না নিলে ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন। বিচারের মাধ্যমেই সমস্যার নিষ্পত্তি হবে। আগেও বলেছি এ নির্বাচনে (ইউপি) ঘনিষ্ট পরিবেশ বিদ্যমান। এখানে ভাই-ভাইয়ের, স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করছে। তাই কনটেস্ট হবে। কিন্তু জনগণ যাকে রায় দেবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। এ নিয়ে মারামারি করার যুক্তি নেই। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

পঞ্চম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে সিইসি বলেছিলেন এই ধাপে নির্বাচন আরো সুষ্ঠু হবে। এই ব্যাপারে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন,  ‘আগে বলেছিলাম, এটা আমাদের আশা। পুলিশ থেকে শুরু করে র্যা ব, আনসার, একটা কেন্দ্রে আটটা করে অস্ত্র, ২২ জনের মতো ফোর্স, এতো ঘন পরিবেশে সবকিছু আমরা করেছি। সার্বক্ষণিক টেলিফোন করছি। সেন্ট্রাল থেকে সেল করা হয়েছে। মুহূর্তে মুহূর্তে সংবাদ নেওয়া হচ্ছে। এখন সহিংসতা যদি ঘটে, মানুষ যদি মনে করেন অন্যের মাথায় বাড়ি মেরে জয়ী হবো, এই মানসিকতা কন্ট্রোল করা দুরূহ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কঠোর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। মনমানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। আজকাল জানের কোনো দাম নাই। এসব ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের ধরপাকড় করা ও অস্ত্র উদ্ধার করার কথা বারবার বলি। এ দুটো ভাল করতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিন্তু অনেক অস্ত্র উদ্ধার করছে। ওটা নরমাল নিউজ। ওটা ওভাবে আসে না। তারা নিজের জানের তোয়াক্কা না করে দায়িত্ব পালন করছে।’

এ সময় নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, মো. শাহ নেওয়াজ, ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান ও জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।


দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপিতে এবার ছয় ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪ জুন ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে ইউপি নির্বাচন সমাপ্ত হবে।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা
তামাকজাত দ্রব্যকে মোড়কের আওতায় আনা ও আইন অনুযায়ী সতর্কবাণী প্রদানে বাধ্য করা, আইন লংঘনে শাস্তি নিশ্চিত করা, তামাকের মূল্য বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ ছবি প্রদর্শণ তামাক নিয়ন্ত্রণের সহায়ক গ্রীন মাইন্ড সোসাইটি, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, স্বপ্নের সিড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, ফাস্ট ফোকাস ট্রাষ্ট, জনস্বার্থ ফাউন্ডেশন, এলআরবি ফাউন্ডেশন ও জাহাঙ্গীর ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে রাজধানীর এসইএল সেন্টার মিলনায়তনে আজ শনিবার সকাল ১১ টায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফাস্ট ফোকাস ট্রাস্ট এর  নির্বাহী এবং নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এডভোকেট সুলতান মাহমুদ বান্না। 

নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন এলআরবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কাদির পলাশ, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন  গ্রীন মাইন্ড সোসাইটর সভাপতি জনাব আমির হাসান মাসুদ। বক্তব্য রাখেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী হেলাল উদ্দিন আহমেদ, স্বপ্নের সিড়িঁ সমাজ কল্যান সংস্থার নিবার্হী উম্মে সালমা, জন স্বার্থ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ডি.এম সাকলায়েন, এল আরবি‘ নির্বাহী সুলতানা রাজিয়া, ঢাকা ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিভারসিটির সমন্বয়ক মো. মহি উদ্দিন, জাহাঙ্গীর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী মো. আমানুল্লাহ নোমান, এসইএল এর নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, এনডিএফ এর সমন্বয়কারী আশরাফ সিদ্দিক শিশির, হাফেজ রবিউল ইসলাম, আনিস সিদ্দিক তুষার, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা প্রমুখ। 
বক্তারা বলেন, তামাক মানুষকে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন, প্রতিদিন ১৫ হাজারের অধিক এবং প্রতিবছর ৬০ লক্ষাধিক মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। তামাকজনিত মৃত্যুর এ ধারা কমিয়ে আনতে বিশ্ববাসী একজোট হয়ে প্রণয়ন করেছে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি), যা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে পৃথিবীতে প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি হিসাবে স্বীকৃত। এফসিটিসির কয়েকটি ধারার আংশিক অনুসরণে সরকার ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ পাস করে। ২০০৬ সালে এর বিধিমালা জারি করা হয়। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সুপারিশের প্রেক্ষিতে সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন করে। পাশাপাশি সারাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল গঠন করে। বাংলাদেশে ২০০৯ সালে পরিচালিত গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) অনুযায়ী, ৪৩.৩% (প্রায় সোয়া ৪ কোটি) মানুষ বিভিন্নরকম তামাক ব্যবহার করে। তামাকজনিত মৃত্যুর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। বর্তমানে লক্ষাধিক মানুষ তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে মারা যাচ্ছে। যেহেতু তামাক জনস্বাস্থ্যকে বিঘিœত করে, মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে, তাই তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে বড় আকারে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান, তামাকজাত দ্রব্যের সবরকম প্রচারণা নিষিদ্ধ, সব গণপরিবহন ও জনসমাগমস্থল ধূমপানমুক্ত করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাস, তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চহারে কর আরোপের পাশাপাশি তামাকের উপর স্বতন্ত্র স্বাস্থ্যকর আরোপ করা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। 

ধীরগতিতে হলেও সরকার ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল আইনের সংশোধনী পাস করে। কিন্তু বিধিমালা পাস করতে দু’বছর বিলম্বিত হয়। অবশেষে ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ সরকার বিধিমালা পাস করে। বিধিমালা অনুযায়ী আগামী মার্চ ২০১৬ এর মধ্যে বিড়ি-সিগারেটসহ সব তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করা হবে। ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। আমাদের পরে এফসিটিসি স্বাক্ষর এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন করার পরও এ অঞ্চলের নেপাল, শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তান আমাদের আগেই ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করছে। এটা আমাদের জন্য হতাশাজনক। তবু এ সতর্কবাণী যেন সঠিকভাবে প্রদান করা যায়, সে প্রক্রিয়া এখনও শুরু করতে হবে। 
তামাক কোম্পানিগুলো আইন লঙ্ঘন করে চলেছে। সর্বত্র তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে (পয়েন্ট অব সেল) বিজ্ঞাপন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রিপোর্টার্স ইউনিটির পাশেও সিগারেটের দোকানগুলোতে বিজ্ঞাপন রয়েছে, এগুলো আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। তামাক কোম্পানিগুলো নিজেরাই আইন লঙ্ঘণ করছে না, ছোট ছোট দোকানদারদের বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে আইন লঙ্ঘণে উৎসাহী করছে। যা রাষ্ট্রকে অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের শামিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তামাক কোম্পানিগুলো শাস্তির আওতায় আনা হয় না। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শুধু ছোট ছোট দোকানদারদের সাজা প্রদান করা হয়। সেটাও খুব বেশি নয়। 
সমগ্র পৃথিবীতে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে জোরালো করতে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে প্রতিবছরের একটি দিনকে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিলেও ১৯৮৮ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ৩১ মে তারিখকে প্রতিবছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যভূক্ত দেশসমূহের প্রতিনিধিদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয়ে ৩১ মে সমগ্র পৃথিবীতে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। 
দিবসটি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিবছরই উদযাপিত হয়। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সারাদেশে জোটের সহযোগী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে বিশ্ব তামাকমুক্ত উদযাপন করে আসছে। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাসমূহ এ বছরও দেশের ৬৪ জেলায়ই র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যে বলা হয়, পৃথিবীতে যত সিগারেট বিক্রয় হয়, তার ১০ভাগের এক ভাগ চোরাচালানের মাধ্যমে বিক্রি হলেও এর প্রভাব অনেক। সিগারেটের চোরাচালানের কারণে শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত তামাকের কর ১০ বিলিয়ন ইউরো থেকে বঞ্চিত হয়, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। সিগারেট ও তামাকের চোরাচালান শুধু উন্নত দেশের সমস্যাই নয়, এটা দরিদ্র দেশের জন্যও একটি সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত। 
বাংলাদেশে যত কম দামে বিড়ি ও চর্বনযোগ্য তামাক পাওয়া যায়, পৃথিবীর কোন দেশেই এত কম দামে তামাক পাওয়া যায় না। তাই বিড়ি, গুল, জর্দার সর্বনি¤œ মূল্য ও কর বাড়াতে হবে। এগুলোও মোড়কের আওতায় আনতে হবে। কারণ, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে যেসব বিড়ি কারখানা, গুল কিংবা জর্দা কারখানা রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানকে কর ও আইনের আওতায় আনতে হবে। ২৫টি স্টিকের একটি প্যাকেটের উপর প্রত্যক্ষ কর কমপক্ষে ৭০% করা উচিত। এরপর মোট মূল্যের উপর ২% স্বাস্থ্য করসহ পরোক্ষ কর আরোপ করা যেতে পারে। তারপর এর খুচরা মূল্য নির্ধারণ হওয়া উচিত। দাম বৃদ্ধি পেলে দরিদ্র মানুষের মধ্যে মৃত্যুঘাতী নেশাদ্রব্যের ব্যবহার কমে আসবে। 
অন্যদিকে সিগারেটের উপর বিভ্রান্তিমূলক ৪টি আলাদা বিভ্রান্তিমূলক কর স্তর বিদ্যমান। ফলে তামাক কোম্পানিগুলো প্রতারণা করে বেশি দামের সিগারেটকে কম দামের সিগারেট দেখিয়ে কর ফাঁকি দেয়। সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য কমপক্ষে ৩৫টাকা করে তার উপর কর নির্ধারণ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে কমপক্ষে ৭০% কর বৃদ্ধি করা উচিত। উল্লেখিত পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণ ও কর বাড়ানো হলে একদিকে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। পাশাপাশি তামাকের ব্যবহার ক্রমশ কমে আসবে। ফলে তামাকজনিত রোগ ও মৃত্যুহার কমবে। 
 
তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ ও দাবী:
- বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুলসহ সবরকম তামাকের সর্বনি¤œ মূল্য নির্ধারণ 
- বিড়ি, ছোট গুল এর কৌটা ও ছোট জর্দার প্যাকেটের সর্বনি¤œ মূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ এবং সিগারেটের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণ, তারপর ৭০% কর প্রত্যক্ষ কর ও ২% স্বাস্থ্যকর নির্ধারণ
- সাদাপাতা বা খোলা তামাক পাতা বিক্রি নিষিদ্ধ করা
- সব তামাকজাত দ্রব্যকে মোড়কের আওতায় আনা ও আইন অনুযায়ী সতর্কবাণী প্রদানে বাধ্য করা। আইন লঙ্ঘণে শাস্তি নিশ্চিত করা। 
- সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের চোরাচালানের উৎস চিহ্নিত ও চোরকারবারীদের আটকসহ শাস্তি প্রদান
- সিগারেটসহ চোরাচালানকৃত তামাকজাত দ্রব্য প্রকাশ্য ধ্বংস করে তার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রদান করা
- চোরাচালনকৃত সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি বন্ধে বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে অভিযান পরিচালনা। বিক্রেতার আটকের মাধ্যমে চোরাচালানকৃত সিগারেটের রুট চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা। 
- বাংলাদেশে বিক্রিত সব তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে আইন অনুযায়ী বাংলায় লিখিত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান নিশ্চিত করা
 
তামাকজাত দ্রব্যের উপর আরোপিত স্বাস্থ্যকর জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে পরিকল্পিত উপায়ে ব্যয় নিশ্চিত করতে থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের আলোকে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

এখনি রোজার বাজার

এখনি রোজার বাজার

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে মুসলমানদের সিয়াম-সাধনার মাস, পবিত্র রমজান মাস।  রমজান মাসে খাবার-দাবারে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। সেহ্‌রি ও ইফ্‌তারে থাকে ভিন্ন ভিন্ন পদ। সারা দিন রোজা রাখা। তারপর অন্যান্য কাজ তো থাকেই। ফলে রমজান মাসে বেড়ে যায় আমাদের ব্যস্ততা। এর মধ্যে ঝামেলা পাকায় বাজার-সদাইয়ের ফিরিস্তি। তবে রমজান মাসে রোজা রেখে এই ঝক্কি-ঝামেলাটা এড়ানো যায় খুব সহজেই। তাই রোজা আসার আগেই সেরে ফেলুন বাজার সদায়ের কাজ।


তালিকা করুন কী কী লাগবে
রোজায় আপনি ও আপনার পরিবার যে ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করেন, তার একটি তালিকা করুন। পরিবারের যে কয়জন সদস্য, তা মাথায় রেখে হিসাব করুন রোজার মাসে কী পরিমাণ চাল-ডাল, তেল-নুন লাগবে। সঙ্গে এটিও হিসাব করুন কী পরিমাণ ছোলা-পেঁয়াজ-চিনি, বেসন-আটা-ময়দা লাগবে। এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার পদের দাম সব সময় একরকম থাকে না। আর ঠিকঠাক হিসাব করে কিনলে তা নষ্ট হবার সম্ভাবনাও কম। এ ছাড়া পুরো এক মাসেরটা যেহেতু এক সঙ্গে কিনবেন, তাই দামেও কিছুটা সাশ্রয় হবে।

হিসাব করার সময় খেয়াল রাখুন পরিবারে বয়স্ক মানুষ আছে কিনা। বয়স্কদের জন্য তাদের স্বাস্থ্যের উপযোগী খাবার পদ অবশ্যই রাখুন। আপনার জন্য যে খাবার তা বয়স্কদের শরীরে নাও মানাতে পারে। সুতরাং এ বিষয়ে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন।

তেলযুক্ত খাবার পরিমিতভাবে খান। ইফতারিতে ভাজা-পোড়া খাবার শরীরের জন্য কতটা সহনশীল এসব মাথায় রেখে হিসাব করুন। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ফলমূলও নিয়মিত গ্রহণ করার বিষয়টি মনে রাখুন।

সারা মাসে কী পরিমাণ পণ্য আপনার লাগবে তা খুব ভালোভাবে হিসাব করে তালিকা করুন। সবকিছু প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি রাখুন। এতে রোজায় মেহমান এলে বা প্রতিবেশীকে দাওয়াত করলেও হঠাৎ আপনার বাজারে ছুটতে হবে না। পূর্ণাঙ্গ তালিকা করুন।

ভুল যেন না হয়
তালিকা করার পর আবার চোখ বুলিয়ে নিন। প্রয়োজনে আরো একবার চোখ বুলিয়ে নিশ্চিত হোন যে সব কিছু আপনি তালিকায় রেখেছেন কিনা। না হলে ছোট্ট একটা জিনিসের জন্য আবার আপনাকে বাজারে যাওয়ার ঝামেলা পোহাতে হবে। কষ্ট করে হলেও আবার চোখ বুলিয়ে নিন।

পাইকারি বাজার বেছে নিন
পুরো এক মাসের বাজার করবেন, পাড়ার বা মহল্লার মোড়ের দোকানটাতে না গেলেই ভাল। মনে করে তালিকাটা পকেটে ভরে আশপাশের কোনো পাইকারি বাজারে চলে যান। এতে আপনার হয়তো রিকশা ভাড়া বাড়তি খরচ হবে। কিন্তু বাজারে বেঁচে যাবে বেশ কিছু টাকা। এ ছাড়া পাইকারি বাজারে একাধিক দোকান ঘুরে সেরা পণ্যটিই কিনতে পারবেন। চাইলে মেগা শপগুলোকেও বেছে নিতে পারেন আপনার রোজার মাসের বাজারের জন্য।

দরদাম
সারা বছর না লাগলেও রোজায় কিন্তু ছোলা ও মুড়ি লাগবেই। বাজারে দুই-তিন ধরনের ছোলা পাওয়া যায়। দাম পড়বে ৮০-১০০ টাকা কেজিপ্রতি। মুড়ি প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৯৫ টাকা। তিন ধরনের ডাল আছে বাজারে। মসুর ডালের দাম পড়বে ১৮০ টাকা কেজি, খেসারি ৯০ টাকা ও বুটের ডাল ১২০ টাকা কেজি। সয়াবিন তেল পাঁচ লিটার ৫৮০ টাকা, পাম ওয়েল ৯৫ টাকা প্রতি কেজি। দেশি চিনির দাম পড়বে ৫৫ টাকা কেজিপ্রতি, ৪৫ টাকা পড়বে ভারতীয় চিনি। আটা প্রতি দুই কেজি প্যাকেটের দাম পড়বে ৭০ টাকা, ১০ টাকা বেশি হারে কিনতে পারবেন ময়দা।


বেসন প্রতি কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা করে। মরিচগুঁড়া ৩০০ টাকা কেজি। জিরা ৪৮০ টাকা কেজি। হলুদগুঁড়া ২৭০ টাকা কেজি। দেশি বাদাম পাবেন ৯৫ টাকা কেজি। কাজু বাদাম প্রতি কেজি ৯৫০ টাকা। আদা ২০০ টাকা প্রতি কেজি, তেজপাতা ৩০০ টাকা কেজি, রসুন ১৫০ টাকা কেজি। কিসমিস কিনতে আপনাকে খরচ করতে হবে প্রতি কেজি ৭০০ টাকা। শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা। বাজারে প্রায় সাত-আট ধরনের খেজুর পাওয়া যায়। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৩৬০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
জি-৭ সম্মেলন:  বিশ্ব অর্থনীতিকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলবে

জি-৭ সম্মেলন: বিশ্ব অর্থনীতিকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলবে

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:


জি-৭ সম্মেলনেও ব্রেক্সিট ইস্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেন বের হয়ে গেলে  (ব্রেক্সিট) তা বিশ্ব অর্থনীতিকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলবে। শুক্রবার জি-৭ সম্মেলনে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর নেতারা এ কথা বলেছেন। ব্রিটেনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, তারা এই বক্তব্যকে স্বাগত জানাবে।

বিবৃতিতে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর নেতারা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বের হয়ে গেলে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং যে চাকরির বাজার তারা সৃষ্টি করেছে তাতে বিপরীত প্রবণতা দেখা যাবে এবং প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ঝুঁকি বাড়বে।

আগামী ২৩ জুন যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকার প্রশ্নে রায় দেবেন ব্রিটিশ জনগণ। ওইদিন অনুষ্ঠিত গণভোটেই নির্ধারিত হবে ব্রিটেনের পরিণতি। এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্রিটেনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইইউ থেকে বের হওয়ার ফল যুক্তরাজ্যের জন্য ভালো হবে না।

এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিশ্ব নেতারা সম্মেলনে ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনা করেননি। তবে তারা সবাই চান ব্রিটেন ইইউতেই থাক।


তিনি বলেন, ‘ এটা এখানকার কোনো বিষয় নয়। তবে ইঙ্গিত রয়েছে, যারা এখানে বসেছেন তারা সবাই চান ব্রিটেন ইইউ’র অংশ হিসেবেই থাক। তবে সিদ্ধান্ত ব্রিটেনের জনগণের ওপর।’
কুষ্টিয়ার আইলচারায় শাহিনুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়ার আইলচারায় শাহিনুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

নির্বাচনী বিরোধে যুবককে হত্যার অভিযোগ

কুষ্টিয়ার আইলচারায় শাহিনুর রহমান (২৭)  নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, নির্বাচনী বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার আইলচারায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিনুর রহমান আইলচারা গ্রামের মৃত জাহের আলীর ছেলে।

পরিবার থেকে জানানো হয়, গতকাল রাতে স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শাহিনুর।  এসময় তার ওপর হামলা করা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই শামীম জানান, সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শাহিনুর নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতালেব হোসেনের পক্ষে কাজ করেন। এ নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থকরা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এর জেরে শাহিনুরকে হত্যা করা হয়েছে।  


পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
স্বদেশ মৃত্তিকা  মানব উন্নয়ন সংস্থা উদ্যেগে: ইফতার বিতরন কর্মসুচি:

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা উদ্যেগে: ইফতার বিতরন কর্মসুচি:

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

মোঃ আকবর  হোসেন



নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে দু:স্থ, অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরন কর্মসুচিতে “স্বদেশমৃত্তিকা  মানব উন্নয়ন সংস্থা”
রমজান মাসে গরীব রোজাদারগন ঠিক মতো ইফতার সামগ্রী ক্রয় করতে পারেন। অনেকে মানবেতরভাবে রোজা পালন করেন। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে দরিদ্র রোজাদারদের কষ্ট লাগব হবে।
রমজান আসে সংযমের শিক্ষা নিয়ে সিয়াম সাধনার কঠোর অনুশীলনের মধ্যেমে মাহে রমজানের শিক্ষা নিজের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিফলিত করতে পারলে পৃথিবীটা হয়ে উঠবে সুন্দর ও শান্তির নীড়।
ত্যাগ ও সংযমের শিক্ষা যথাযথ প্রয়োগ কেবল ধর্মীয় জীবন সমৃদ্ধ করে বেহেস্তের পথ খুলে দিবে। নেমে আসবে বেহেস্তের সুখ ও শান্তি।
অসহায়দের সাথে সহায় হয়ে তাদের দু:খ দুর্দশায় তাদের পাশে এসে দাড়ানো উচিৎ সচ্ছ, ধনবান মানুষের সহ আমাদের সবার।

বিত্তবানদের উদারচিত্ত নিয়ে হতদরিদ্র নি¤œ আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। দান কখনো  সম্পদকে ছোট করেনা বরং সম্পদের পূর্ণতা লাভ করে। তাই সকলকে সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করে সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে
আজীবন মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্যই “স্বদেশ মৃত্তিকা  মানব উন্নয়ন সংস্থা”
[লেখক: চেয়ারম্যান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা।]
মডেল সাবিরার আত্মহত্যায় ক্ষুব্ধ তসলিমা নাসরিন

মডেল সাবিরার আত্মহত্যায় ক্ষুব্ধ তসলিমা নাসরিন

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

তসলিমা নাসরিনডেস্ক রিপোর্ট : তসলিমা নাসরিন দেশের বাইরে অবস্থান করলেও দেশের অভ্যন্তরের খোঁজ-খবরও রাখেন।স্যোসাল মিডিয়ায় প্রায় প্রতিনিয়তই তার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়। অনেক ঘটনায়ই তার তীব্র প্রতিক্রিয়াও প্রকাশ করেন। মিরপুরের মডেল সাবিরার আত্মহত্যা নিয়েও তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। আবার মনের খেদও ঝেড়েছেন।

ফেসবুকে দেওয়া আজকের সংশ্লিষ্ট স্ট্যাটাসটিতে তিনি লেখেন-  বলিউডের নায়িকা জিয়া খান আত্মহত্যা করেছিল যে কারণে, সে কারণে বাংলাদেশের মডেল সাবিরা হোসাইনও আত্মহত্যা করেছে। একই কারণে অনেক মেয়েই আত্মহত্যা করে। প্রেমিক অপমান করেছে, বা প্রতারণা করেছে, সুতরাং বেঁচে থাকার, তারা মনে করে না, কোনও প্রয়োজন আছে। সমস্যার সমাধান সাধারণত তারা এভাবেই করে। এমনই তুচ্ছ, তারা বিশ্বাস করে, তাদের নিজের জীবন।

তিনি লেখেন- চলচ্চিত্রে অভিনয় করলে, বা নাটক থিয়েটার করলে, বা মডেলিং করলেই মন-মানসিকতা আধুনিক হয় না। সুচিত্রা, শাবানা, ববিতা, রাজ্জাক, অমিতাভ এবং আরও অনেক তারকাই ধর্মান্ধতা , পুরুষতান্ত্রিকতা, আর কুসংস্কারে ডুবে ছিলেন এবং আছেন। পুরুষের সঙ্গে সংসার না করলে জীবন অর্থহীন হয়ে যায়, বা সন্তান জন্ম না দিলে নারীর জীবনের কোনও মূল্যই থাকে না—এগুলোকে বিশ্বাস করে শিক্ষিত নয়, অশিক্ষিত মানুষ। শোবিজে অশিক্ষিতর সংখ্যা নেহাত কম নয়।

তিনি পতিতাদের উদাহরণ টেনে লেখেন- প্রেমিকের প্রতারণার সবচেয়ে বড় শিকার তারা, যারা পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য হচ্ছে। প্রেমিকপুরুষগুলো তাদের ছলে বলে কৌশলে বিক্রি করে দিয়েছে পতিতালয়ে। চরম দুঃসহবাসেও তারা আত্মহত্যা করে না। বরং যুদ্ধ করে নিজেকে নয়তো নিজের সন্তানকে নরক থেকে বাঁচাবার জন্য। আমি বলতে চাইছি না আত্মহত্যার অধিকার মানুষের নেই। জন্মের পর বেঁচে থাকার যেমন অধিকার আছে, মরে যাওয়ারও অধিকার আছে। তবে অকারণে মরে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। যত যাই ঘটুক জীবনে, জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই।

তিনি লেখেন- আমি এমন দেখেছি অনেক, প্রেমে পড়লেই মেয়েরা বড় দুর্বল, বড় ক্ষুদ্র, বড় মূল্যহীন, বড় অকিঞ্চিৎকর, বড় অপ্রতিভ, বড় অবলা, বড় অসহায় হয়ে ওঠে। আত্মসম্মানবোধ লোপ পায়। হয় প্রেমের সংজ্ঞা পাল্টাক, নয়তো মেয়েরা পাল্টাক। ক’দিন পর পরই মেয়েদের আত্মহত্যার খবর শুনতে আর ভাল্লাগছে না।

এভাবেই ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন তসলিমা নাসরিন।
‘বিচারপতিদের মর্যাদা দিতেই ষোড়শ সংশোধনী’

‘বিচারপতিদের মর্যাদা দিতেই ষোড়শ সংশোধনী’

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

‘বিচারপতিদের মর্যাদা দিতেই ষোড়শ সংশোধনী’
 বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো মার্শাল প্রশাসকের কলমের খোঁচায় যাতে কোনো বিচারপতিদের চাকরি না যায় সেজন্যই সংবিধানের সংশোধনী করা হয়েছে। ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের আর্টিকেল ৯৬-২০ এর একটি শব্দ, দাঁড়ি-কমাও তাতে বাদ দেওয়া হয়নি। হুবহু তা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। তবে এটা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তা গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় ও সমৃদ্ধ করবে।

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সম্প্রতি ওবামার সঙ্গে কংগ্রেসের বিতর্ক হয়েছিল। সে সময় অনেক কর্মচারীর বেতনও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাতে ইউনাইটেড স্টেট ধ্বংস হয়ে যায়নি। ববং ভালোই হয়েছে। ফলে আমি বলি, বিচার বিভাগের সঙ্গে আইনসভার যখন এমন বিতর্ক হয় তখন গণতন্ত্র শুধু সুদৃঢ়ই হয়।

তিনি আরো বলেন, এক সময়ে আমরা আইনের শাসন চেয়েছি, কিন্তু বদলে পেয়েছি মিলিটারি শাসন। উন্নয়ন চেয়েছি, পেয়েছি সন্ত্রাস। দেশে খুন করে হিরো হয়ে কূটনৈতিক মিশনে চাকরি পাওয়ার রীতি বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ এখন বিশ্বাস করে অপরাধ করলে বিচার হবে, ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে। আর এ কারণেই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর হচ্ছে। নিজামী-মুজাহিদরা মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে আর আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারকের দেওয়া রায় কার্যকর করেছি মাত্র।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন, জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনির কামাল, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রমুখ।
আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬



বৃহস্পতিবার ডিবির পরিদর্শক গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা করেন। মামলা নম্বর ২১। এতে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। 

আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাবিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, মামলা থানায় হলেও তদন্ত করবে গোয়েন্দা পুলিশ। কেননা তারা ইতিমধ্যে এ নেতার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো তদন্ত করছে। প্রয়োজনে তারাই রিমান্ডে নেবে।

মামলার এজাহার ঘেঁটে দেখা যায়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১২০/বি, ২১/এ ও ১২৪/এ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি, সরকারকে অজনপ্রিয় করা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করেছেন আসলাম চৌধুরী। যার স্বপক্ষে প্রমাণও রয়েছে। মার্চ মাসে ভারতে অবস্থান করেন তিনি। সেখানে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধি মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকগুলো সরকার উৎখাতের জন্য করা হয়। ইতিমধ্যে এসব তথ্যের ব্যাপারে তিনি রিমান্ডে তথ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি দেশের ভেতরও একই ধরনের ষড়যন্ত্র করেছেন।

১৫ মে খিলক্ষেত থানার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে মহানগর উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ বিএনপির এ নেতাকে আটক করে। এর আগে থেকেই পুলিশ তাকে খুঁজছিল। আটকের পর তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গোয়েন্দারা। আদালত শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইতিমধ্যে তাকে আরো দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এসব মামলায়ও রিমান্ড চেয়েছে গোয়েন্দারা।
জি৭-সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী আজ জাপান যাচ্ছে

জি৭-সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী আজ জাপান যাচ্ছে

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

জি৭-সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী আজ জাপান যাচ্ছে

জাপানের নাগোয়া শহরে অনুষ্ঠিতব্য শিল্পোন্নত দেশসমূহের সম্মেলন জি৭-এর আউটরিচ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে ৪দিনের সরকারী সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টায় শাহজালাল আন্তজাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটির নাগোয়ার চুবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭টা ১৫ মিনিটে (জাপানের স্থানীয় সময়) অবতরণের কথা রয়েছে। জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার মিকি ইয়ামাদা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। শুক্রবার দিন প্রধানমন্ত্রী সিমা কানকো হোটেলে জি-৭ সম্মেলনের আউট রিচ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সেখানে বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়া জি-৭ আউটরিচ লিডারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্কিং লাঞ্চে অংশ নেবেন এবং সেখানেও বক্তৃতা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী একইদিনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হবেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মিরথি পালা শ্রিসেনার সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবের সঙ্গেও এদিন তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী জাপানের রাজধানী টোকিও’র উদ্দেশ্যে ট্রেনে নাগোয়া ত্যাগ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি টোকিওতে নবনির্মিত চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করবেন।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ব্রেকফাষ্ট বৈঠকে মিলিত হবেন এবং সেখানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সংস্থা এফবিসিসিআই এবং জাপানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সংস্থা ’জেটরো’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হবার কথা রয়েছে। এ দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের হেনাডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমানের একটি ফ্লাইটে টোকিও ত্যাগ করবেন। রাত ১১টা ৪৫ (ঢাকার স্থানীয় সময়)মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারি বিমানটির ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে
পুরাতন মবিল নতুন বোতলে : দূষণ এখন সবুজ পল্লীতে

পুরাতন মবিল নতুন বোতলে : দূষণ এখন সবুজ পল্লীতে

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

পুরাতন মবিল নতুন বোতলে : দূষণ এখন সবুজ পল্লীতে









ইবনুল সাঈদ রানা
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুরা বাজার এবং চান্দ্রাকান্দি গ্রাম এর পাশে বেঁড়িবাধ পাওয়ার হাউজের কাছে মেঘনার তীরে ৪/৫ বছর যাবত সমু ওয়েলমিল নামে একটি কারখানা পুরাতন মবিল সংগ্রহ করে রিফাইন করে নতুন করে বোতলজাত করে বাজারে পাঠাচ্ছে।
এই মবিল আবার মূল্যবান যান বাহনে ব্যবহার হচ্ছে। গ্রাহক জানে না সে তার গাড়ীতে কি ব্যবহার করছে। এলাকার শত শত গাড়ী এই পুরাতন মবিল ব্যবহারে কারণে মারাত্মক যান্ত্রিক ক্ষতি হচ্ছে গাড়ীর মালিক রা জানতেও পারছে না। পুরাতন মবিল নতুন নামে বিক্রয় এটিও একটি প্রতারণা।
এই সমু ওয়েলমিল পুরাতন মবিল নতুন করার প্রক্রিয়ার সময় যে মেশিনটি ব্যবহার করে তার উচ্চ শব্দে এলাকার পশুপাখি এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী করছে। বিব্রত করছে এলাকার শিশু নারীসহ পথচারী অসংখ্য জনগনকে। মবিল তৈরির কারখানা থেকে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে মেঘনা নদীতে।
বর্জ্য ফেলার জায়গায় ভাসমান কচুরীপানাও বর্জের বিষাক্ততায় পুড়ে যায়। আশপাসে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ক্যামিকেলের বিষাক্ত গন্ধে এলাকাবাসী দম বন্ধ হয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যায়। স্কুল কলেজে আসা যাওয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই গন্ধে বমি করতে থাকে, অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পাশের বিদ্যালয়ের লেখাপড়ায় বিঘœতা ঘটছে।
  
এলাকাবাসির অভিযোগ
১। বিষাক্ত কালো ধোয়া উৎপন্ন হচ্ছে, আশপাশ এলাকায় কালো ধোয়ার কারণে গাছের পাতা সহ সকল কিছু দূষিত হচ্ছে।
২। এই কারখানায় এসিডের ব্যবহার করা হচ্ছে।
৩। কারখানায় উচ্ছ শব্দ সৃষ্টি হচ্ছে , যার কারণে প্রানিকুলের স্বাভাবিক বিচরণ বিনষ্ঠ হচ্ছে।
৪। কারখানার সকল ময়লা আবর্জনা, ক্যামিকেল উচ্ছিষ্ঠ সকল বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে, যার ফলে নদী দূষন হচ্ছে।
৫। বর্জ্য সমূহ নদীতে ফেলায় সবুজ কচুরীপানা, তীরের সবুজ ঘাস পুড়ে যাচ্ছে এসিডের কারণে। নদীর জলজ প্রানী জগতও এই বিষাক্ত বর্জ্যরে কারণে হুমকির মধ্যে রয়েছে।
৬। কারখানার বর্জ্য ও বিষাক্ত ক্যামিকেল এর গন্ধে এলাকাবাসির জীবন বিপর্যস্ত।


এলাকাবাসির প্রশ্ন!

১।  এ ধরণের পরিবেশ ধ্বংস কারী কারখানা এলাকার মধ্যে লোকালয়ে কি ভাবে পরিচালিত হচ্ছে? কর্তৃপক্ষ কেন দেখছে না।
২। এলাকাবাসীর সমস্যা করে, সকল মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুকিতে ফেলে  কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে। অথচ এই কারখানার বিরোদ্ধে কেউ মূখ খুলছে না ভয়ে, কারণ এর মালিক টাকা ওয়ালা ক্ষমতাধরদের যোগসাজসে চলছে। কর্তৃপক্ষ কেন দেখছে না।
৩। নদী দূষণ, পরিবেশ দূষণ এবং স্বাস্থ্য দূষণ চলছে, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?
৪। পরিবেশ অধিদপ্তর নিরব কেন?
[লেখক: চেয়ারম্যান, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন।]

বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬

এই সময় এবং কবি নজরুল

এই সময় এবং কবি নজরুল

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

এই সময় এবং কবি নজরুল
 তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়/ সেকি মোর অপরাধ?/ চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিনী/ বলে না তো কিছু চাঁদ, কিংবা চেয়ো না সু নয়না আর চেয়ো না/ এ নয়ন পানে/ জানিতে নাহিকো বাকি সই ও আঁখি/ কি যাদু জানে, অথবা মোর প্রিয়া হবে এস রানী/ দেব খোঁপায় তারার ফুল- এ গানগুলো শুনে আপনি নিশ্চয়ই ভাববেন কাজী নজরুল ইসলাম চির প্রেমের কবি। রোমান্টিক কবি।

আবার বিদ্রোহী কবিতা পড়ে তাকে বিদ্রোহী কবি বলা হয়। তবে বিদ্রোহী কিংবা প্রেমের কবি যাই বলি না কেন, তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। গভীরভাবে তার লেখা গান, ছোটগল্প, কবিতা বিশ্লেষণ করলে মাটি ও মানুষের জীবনচিত্রই পাওয়া যায়। নজরুল শুধু মাটির কাছাকাছি ছিলেন না, নজরুল লেটোর দলে গান গাইতেন। পালা রচনা করতেন।

নজরুল দেখিয়েছেন বাঙালির সংস্কৃতিতে সবাই এক। বিশেষ করে হিন্দু-মুসলিম। বাঙালির ভেতরে যে পৌরাণিক পুরাণ ও যে লৌকিক পুরাণ বিদ্যমান, তা নিয়ে তিনি একত্র করতে চেয়েছেন। তিনি একসঙ্গে হিন্দু-মুসলিম মিলে যে পুরাণের সৃষ্টি করেছেন, তা আধুনিক বাংলা সাহিত্যে অনন্য উদাহরণ। আধুনিক বাংলা ভাষায় তিনিই প্রথম সাম্রাজ্যবাদবিরোধী কবি। একমাত্র নজরুলের কবিতায়ই ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহ ও প্রতিবাদের একটি সুনির্দিষ্ট এবং স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। মুসলমান কবিদের মধ্যে নজরুলই প্রথম শ্যামা সংগীত রচনা করেন। তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ধারায় ভাষার মাধ্যমে কবিতা-গানে তিনি যে বিদ্রোহ ফুটিয়ে তুলেছেন, তা বাংলা সাহিত্যে বিরল।

নজরুলের বিচিত্র সৃষ্টি বাংলা সাহিত্যে গভীর বিস্ময়-উদ্রেকী ঘটনা। নজরুলকে চেনার মধ্য দিয়ে আমরা মূলত বাংলা সাহিত্যের এক কালজয়ী সৃষ্টিকে অনুধাবন করতে সক্ষম হই। আবেগকে শিল্পের মধ্য দিয়ে কী করে সমষ্টির অঙ্গীকারে রূপান্তর করা সম্ভব, সাহিত্যে নজরুল ব্যতিক্রমী উদাহরণ। সাহিত্যের মধ্য দিয়ে জনগণমনচিত্তকে প্রবলভাবে আলোড়িত করার ক্ষেত্রে নজরুলের অবদান বিস্ময়ের জন্ম দেয়। যেমনটি আমার ‘কৈফিয়ত’ কবিতায় কবি নিজেই উচ্চারণ করেছেন, ‘প্রার্থনা করো-যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটি মুখের গ্রাস/ যেন লেখা হয় আমার রক্ত লেখায় তাদের সর্বনাশ!’ 

নজরুল বৈপ্লবিক উত্থান এবং সাম্রাজ্যবাদী-উপনিবেশবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনমানুষের সংগ্রামকে কবিতা, গদ্য ও গানে ভাস্বর করেছেন অখণ্ড মানবতার প্রতি গভীর বিশ্বাস, ভালোবাসা ও শিল্পিত অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে। ‘জাতের বজ্জাতি’ কবিতায় বলেছেন- ‘জাতের নামে বজ্জাতি সব জাল জালিয়াত খেলছ জুয়া/ ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয় তো মোয়া/ হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি, ভাবলি এতেই জাতির জান/ তাই তো বেকুব করলি তোরা এক জাতিকে একশ খান।’ 

অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। নজরুল বলেছেন, ‘আমি আমার জন্মক্ষণ থেকে আমার অস্তিত্বকে খুঁজে ফিরছি। যখন আমি বালক, তখন ঐ আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার কান্না আসত- বুকের মধ্যে বায়ু যেন রুদ্ধ হয়ে আসত।… অই আকাশটা যেন ঝুড়ি, আমি যেন পাখির বাচ্চা, আমি অই ঝুড়ি চাপা থাকব না- আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।’ আজ এই সময়ে আমরা এমন অবস্থার মধ্যে বিরাজমান, যেখানে নজরুলের এই অভিভাষণ যেন তারই স্পষ্ট উচ্চারণ।

এ জন্যই হয়তো কবি তরুণ সমাজকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তাই আমাদের সময়ে নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেখানেই অন্যায় হচ্ছে, সেখানেই নজরুল প্রতিবাদ করেছেন। এ জন্যই নজরুল প্রাসঙ্গিক। কেননা তিনি তো নিজেই বলেছেন- ‘গাহি সাম্যের গান/ মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নাহি কিছু মহিয়ান।’ কিংবা ‘আমি সেই দিন হব শান্ত/ যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না/ অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম বনভূমি রণিবেনা।’

তবে বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বতন্ত্র-স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। ‘বাংলাদেশ’ কবিতায় বলেছেন, ‘এই দেশের মাটি-জল ও ফুলে-ফলে যে রস, যে সুধা নাহি ভূমণ্ডলে। এই মাটির বুকে হেসে খেলে সুখে ঘুমাবো এই বুকে স্বপ্নাতুর’। এ জন্যই বলা যায়, এই সময়ে নজরুল প্রাসঙ্গিক।
ছবিতে মাহির গায়ে হলুদ

ছবিতে মাহির গায়ে হলুদ

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

ছবির কোলাজ

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। হঠাৎ করেই গতকাল (২৪ মে) সিলেটের কদমতলীর ব্যবসায়ী পারভেজ মোহাম্মদ অপুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে বিয়ের এ খবর প্রকাশের পর কোনো স্থিরচিত্র প্রকাশ পায়নি।
আজ মাহির হলুদসন্ধ্যার বেশ কিছু স্থিরচিত্র প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। মাহির গায়ে হলুদের স্থিরচিত্র নিয়ে সাজানো হয়েছে এই ফটো ফিচার।  
 
ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজরা, দলে নেই সাকিব

ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজরা, দলে নেই সাকিব

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

ক্রীড়া ডেস্ক: হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। এমন সমীকরণ নিয়েই আজ আইপিএলে দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজরা, দলে নেই সাকিবদিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলকাতার অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে আজ নেওয়া হয়নি বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। সরাসরি দেখাবে চ্যানেল নাইন, সনি সিক্স, সনি ইএসপিএন।

তিন দিনের ব্যবধানে আইপিএলে ফের মুখোমুখি হচ্ছে সাকিব ও মুস্তাফিজের দল। স্বদেশী দুই তারকা দু’দলে থাকায় আজ সমর্থণ নিয়ে উভয় সংকটে পড়তে পারেন বাংলাদেশি সমর্থকরা। তবে সাকিব দলে না থাকায় আজ হয়তো মুস্তাফিজের পক্ষেই ব্যাট চালাতে পারেন তারা।

আইপিএলে আজ বিদায় ঘন্টা বাজবে সাকিব-মুস্তাফিজের যেকোনো এক দলের। আজকের জয়ী দল ফাইনালের টিকিট পেতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে। মঙ্গলবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে এই গুজরাটকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে রয়্যাল চেলেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

লিগ পর্বে কলকাতার বিপক্ষে দুবারের দেখায় দুবারই হেরেছে হায়দরাবাদ। তবে মুস্তাফিজের বোলিংয়ের সামনে একবারই ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পেরেছেন সাকিব আল হাসান। আজও প্রতিপক্ষ দলে স্বদেশি তারকা সাকিবকে পাচ্ছেন না মুস্তাফিজ। গত দুই ম্যাচে হারায় আজ  কলকাতার বিপক্ষে প্রতিশোধ নিতে চাইবে হায়দরাবাদ। অন্যদিকে মুস্তাফিজদের মরনকামড় বসিয়ে আসর থেকে ছিটকে ফেলতে চাইবে সাকিব আল হাসানের কলকাতা।

কলকাতার বাঁচা-মরার ম্যাচে আজ  একাদশে নেই সাকিব। তাছাড়া ইনজুরির কারণে আজও কলকাতা শিবিরে নেই আন্দ্রে রাসেল। তার পরিবর্তে  রয়েছেন মরনে মরকেল। আর অঙ্কিত রাজপুতের বদলে একাদশে ঠাই পেয়েছেন  রাজগোপাল সতীশ।

অন্যদিকে হায়দরাবাদ শিবিরে করন শর্মার পরিবর্তে ফিরেছেন বিপুল শর্মা। আর বেন কাটিংকে জায়গা করে দিতে একাদশ থেকে ছিটকে পড়েছেন কেন উইলিয়ামস।