স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনার তদন্তে থাকা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইডি) ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ চুরির ঘটনার কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে সুইফট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে একটি নতুন ট্রানজেকশন সিস্টেম যুক্ত করে যায় সুইফটের টেকনিশিয়ানরা। এ সময় তাদের ‘অবহেলার কারণেই’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্ভার হ্যাকারদের সামনে অনেক বেশি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।
সোমবার বিবৃতিতে সুইফট সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তার বক্তব্যকে মিথ্যা, ভুল ও বিভ্রান্তিকর এবং এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।
এতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কোনো সদস্যের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব নয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সুইফটের ব্যবহারকারী হিসেবে নিজেদের সঙ্গে সংযুক্ত সুইফটের নেটওয়ার্কের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রাথমিক পাসওয়ার্ড থেকে শুরু করে এ সম্পর্কিত পরিবেশের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায় অন্য সদস্যদের মতোই বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব।’
গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করা হয়। এর মধ্যে প্রাপকের নামের বানান ভুলের কারণে ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংক ফেরত পাঠিয়ে দেয়। বাকি ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেয় জড়িতরা।
0 coment rios: