বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

এখনি রোজার বাজার

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে মুসলমানদের সিয়াম-সাধনার মাস, পবিত্র রমজান মাস।  রমজান মাসে খাবার-দাবারে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। সেহ্‌রি ও ইফ্‌তারে থাকে ভিন্ন ভিন্ন পদ। সারা দিন রোজা রাখা। তারপর অন্যান্য কাজ তো থাকেই। ফলে রমজান মাসে বেড়ে যায় আমাদের ব্যস্ততা। এর মধ্যে ঝামেলা পাকায় বাজার-সদাইয়ের ফিরিস্তি। তবে রমজান মাসে রোজা রেখে এই ঝক্কি-ঝামেলাটা এড়ানো যায় খুব সহজেই। তাই রোজা আসার আগেই সেরে ফেলুন বাজার সদায়ের কাজ।


তালিকা করুন কী কী লাগবে
রোজায় আপনি ও আপনার পরিবার যে ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করেন, তার একটি তালিকা করুন। পরিবারের যে কয়জন সদস্য, তা মাথায় রেখে হিসাব করুন রোজার মাসে কী পরিমাণ চাল-ডাল, তেল-নুন লাগবে। সঙ্গে এটিও হিসাব করুন কী পরিমাণ ছোলা-পেঁয়াজ-চিনি, বেসন-আটা-ময়দা লাগবে। এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার পদের দাম সব সময় একরকম থাকে না। আর ঠিকঠাক হিসাব করে কিনলে তা নষ্ট হবার সম্ভাবনাও কম। এ ছাড়া পুরো এক মাসেরটা যেহেতু এক সঙ্গে কিনবেন, তাই দামেও কিছুটা সাশ্রয় হবে।

হিসাব করার সময় খেয়াল রাখুন পরিবারে বয়স্ক মানুষ আছে কিনা। বয়স্কদের জন্য তাদের স্বাস্থ্যের উপযোগী খাবার পদ অবশ্যই রাখুন। আপনার জন্য যে খাবার তা বয়স্কদের শরীরে নাও মানাতে পারে। সুতরাং এ বিষয়ে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন।

তেলযুক্ত খাবার পরিমিতভাবে খান। ইফতারিতে ভাজা-পোড়া খাবার শরীরের জন্য কতটা সহনশীল এসব মাথায় রেখে হিসাব করুন। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ফলমূলও নিয়মিত গ্রহণ করার বিষয়টি মনে রাখুন।

সারা মাসে কী পরিমাণ পণ্য আপনার লাগবে তা খুব ভালোভাবে হিসাব করে তালিকা করুন। সবকিছু প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি রাখুন। এতে রোজায় মেহমান এলে বা প্রতিবেশীকে দাওয়াত করলেও হঠাৎ আপনার বাজারে ছুটতে হবে না। পূর্ণাঙ্গ তালিকা করুন।

ভুল যেন না হয়
তালিকা করার পর আবার চোখ বুলিয়ে নিন। প্রয়োজনে আরো একবার চোখ বুলিয়ে নিশ্চিত হোন যে সব কিছু আপনি তালিকায় রেখেছেন কিনা। না হলে ছোট্ট একটা জিনিসের জন্য আবার আপনাকে বাজারে যাওয়ার ঝামেলা পোহাতে হবে। কষ্ট করে হলেও আবার চোখ বুলিয়ে নিন।

পাইকারি বাজার বেছে নিন
পুরো এক মাসের বাজার করবেন, পাড়ার বা মহল্লার মোড়ের দোকানটাতে না গেলেই ভাল। মনে করে তালিকাটা পকেটে ভরে আশপাশের কোনো পাইকারি বাজারে চলে যান। এতে আপনার হয়তো রিকশা ভাড়া বাড়তি খরচ হবে। কিন্তু বাজারে বেঁচে যাবে বেশ কিছু টাকা। এ ছাড়া পাইকারি বাজারে একাধিক দোকান ঘুরে সেরা পণ্যটিই কিনতে পারবেন। চাইলে মেগা শপগুলোকেও বেছে নিতে পারেন আপনার রোজার মাসের বাজারের জন্য।

দরদাম
সারা বছর না লাগলেও রোজায় কিন্তু ছোলা ও মুড়ি লাগবেই। বাজারে দুই-তিন ধরনের ছোলা পাওয়া যায়। দাম পড়বে ৮০-১০০ টাকা কেজিপ্রতি। মুড়ি প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৯৫ টাকা। তিন ধরনের ডাল আছে বাজারে। মসুর ডালের দাম পড়বে ১৮০ টাকা কেজি, খেসারি ৯০ টাকা ও বুটের ডাল ১২০ টাকা কেজি। সয়াবিন তেল পাঁচ লিটার ৫৮০ টাকা, পাম ওয়েল ৯৫ টাকা প্রতি কেজি। দেশি চিনির দাম পড়বে ৫৫ টাকা কেজিপ্রতি, ৪৫ টাকা পড়বে ভারতীয় চিনি। আটা প্রতি দুই কেজি প্যাকেটের দাম পড়বে ৭০ টাকা, ১০ টাকা বেশি হারে কিনতে পারবেন ময়দা।


বেসন প্রতি কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা করে। মরিচগুঁড়া ৩০০ টাকা কেজি। জিরা ৪৮০ টাকা কেজি। হলুদগুঁড়া ২৭০ টাকা কেজি। দেশি বাদাম পাবেন ৯৫ টাকা কেজি। কাজু বাদাম প্রতি কেজি ৯৫০ টাকা। আদা ২০০ টাকা প্রতি কেজি, তেজপাতা ৩০০ টাকা কেজি, রসুন ১৫০ টাকা কেজি। কিসমিস কিনতে আপনাকে খরচ করতে হবে প্রতি কেজি ৭০০ টাকা। শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা। বাজারে প্রায় সাত-আট ধরনের খেজুর পাওয়া যায়। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৩৬০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: