স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
তথ্য অধিকার
আইন ২০০৯ এর আলোকে কামরাঙ্গিরচর এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ¯’ানীয় বাসিন্দাদের মতবিনিময় সভা
সুপেয় পানি
প্রাপ্তী নাগরিক অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কাজ
করে আসছে বহুদিন। তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার বাড়িয়ে সচেতনতা বাড়ার ফলে এলাকার জনগন
দাবি তুলেছে কামরাঙ্গির চরের উন্নয়নে একেক প্রতিষ্ঠান একেক সময়ে কাজ করলে জনগনের
ভোগান্তি— বাড়বে, কাজেই সমন্বিত কাজের শুর“টা জর“রী।
মতবিনিময়সভায়
তথ্য অধিকার আইনের আলোচনায় উঠে আসে যে জনগনের সুপেয় পানি সরবরাহ যেমন কর্তৃপক্ষের
দায়িত্ব, তেমনি নাগরিকের
অধিকার সুপেয় পানি প্রাপ্তী। রাজধানীর দক্ষিন সিটি করপোরেশন এলাকার ৫৫, ৫৬, ৫৭ নং ওয়ার্ড সিটি করপোরেশন এর আওতায় অšর্তভুক্ত হলেও এই এলাকার নাগরিকের
জন্য করপোরেশন থেকে তাদের ন্যায্য অধিকার পানি ও পয়ঃনিশ্কাষন ব্যব¯’াপনায় এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন ব্যব¯’া নেয়া হয় নাই। নাগরিক সুবিধা পাওয়া
এবং নাগরিকের চাহিদা প্রাপ্তীতে অধিকার সম্পর্কে
এখন এলাকার মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। সুপেয় পানি প্রাপ্তি তাদের দাবি
ন্যায্য। অথচ ঢাকা ওয়াসা তার দায়িত্ব পালনে দৃশ্যত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই।
কর্তপক্ষ এখনো পয়নিস্কাশন,
খাবার পানি
সরবরাহ বিষয়ে উদাসিন। রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় সুপেয় খাবার পানির অপ্রতুলতা চলছে।
ওয়াসা তিন বছর আগে ভূগর্বস্ত পানি উত্তোলন কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা
প্রায় সব এলাকাতেই তাদের পানি উত্তোলন এর জন্য ডিপ টিউবঅয়েল গুলোকে নতুন করে আরো
গভীরে বসা”েছ। প্রতি বছর
ঢাকার ভূগর্ব¯’ পানির স্তর ২ থেকে ৩ মিটার নীচে নামছে। এটা
জেনেও ওয়াসা তাদের পানি উত্তোলন বন্ধে কোন পদক্ষেপ নি”েছ না। পানির স্তর নীচে নামার অন্যতম
কারণ হলো ঢাকা শহরে প্রতি বছর ফাঁকা জায়গা পাকা করা হ”েছ নানা ধরনের অট্ট্রালিকা বানানোর
জন্য। ফসলী জমি, মাঠ পার্ক, পুকুর, জলাশয়, খাল, বিল, নদী এবং উম্মোক্ত ¯’ান দখল করে নানা ধরনের অট্ট্রালিকা গড়ে তোলা হ”েছ। ফলে বৃষ্টির পানি কোন ভাবেই ভূমির নীচে প্রবেশ করতে পারছে
না।
এলাকাবসি বলেন
কামরাঙ্গিরচরের চতুরপাশে নদী রয়েছে। এই নগরীটিকে আদর্শ এবং পরিকল্পিত নগরী হিসাবে
গড়ে তোলা সম্বব। ঢাকা শহরের আশপাশের নদী এবং ঢাকার ৪৩ টি খাল দখল মুক্ত করতে হবে
পানির আধার রক্ষা করতে হবে। ভূগর্ব¯’ পানি উত্তোলন
কমাতে হবে, প্রাকৃতিক
বৃষ্টির পানি এবং নদীর পানি ব্যবহার বাড়াতে হবে। কামরাঙ্গির চর এলাকায় অতিসত্বর
পানি সরবরাহ না হলে পানির জন্য হা হা কার তৈরী হবে। প্রতিটি বাড়ীতে ডিপ টিউবঅয়েল
বসিয়ে পানি তোলছে,
ছোট ছোট কলকারখানা বসানো হ”েছ, পানির ব্যবহার বাড়ছে প্রতিদিন। কাজেই সমস্যা
সমাধানে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। আমাদের সামাজিক সংগঠনগুলোর সচেতনতায় এগিয়ে আসতে
হবে।
0 coment rios: