বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

‘বিচারপতিদের মর্যাদা দিতেই ষোড়শ সংশোধনী’

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

‘বিচারপতিদের মর্যাদা দিতেই ষোড়শ সংশোধনী’
 বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো মার্শাল প্রশাসকের কলমের খোঁচায় যাতে কোনো বিচারপতিদের চাকরি না যায় সেজন্যই সংবিধানের সংশোধনী করা হয়েছে। ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের আর্টিকেল ৯৬-২০ এর একটি শব্দ, দাঁড়ি-কমাও তাতে বাদ দেওয়া হয়নি। হুবহু তা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। তবে এটা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তা গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় ও সমৃদ্ধ করবে।

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সম্প্রতি ওবামার সঙ্গে কংগ্রেসের বিতর্ক হয়েছিল। সে সময় অনেক কর্মচারীর বেতনও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাতে ইউনাইটেড স্টেট ধ্বংস হয়ে যায়নি। ববং ভালোই হয়েছে। ফলে আমি বলি, বিচার বিভাগের সঙ্গে আইনসভার যখন এমন বিতর্ক হয় তখন গণতন্ত্র শুধু সুদৃঢ়ই হয়।

তিনি আরো বলেন, এক সময়ে আমরা আইনের শাসন চেয়েছি, কিন্তু বদলে পেয়েছি মিলিটারি শাসন। উন্নয়ন চেয়েছি, পেয়েছি সন্ত্রাস। দেশে খুন করে হিরো হয়ে কূটনৈতিক মিশনে চাকরি পাওয়ার রীতি বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ এখন বিশ্বাস করে অপরাধ করলে বিচার হবে, ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে। আর এ কারণেই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর হচ্ছে। নিজামী-মুজাহিদরা মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে আর আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারকের দেওয়া রায় কার্যকর করেছি মাত্র।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন, জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনির কামাল, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: