বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬

রোমাঞ্চকর ম্যাচে মাশরাফিদের হার

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

রোমাঞ্চকর ম্যাচে মাশরাফিদের হার
ক্রীড়া প্রতিবেদক : ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে মাশরাফির সেঞ্চুরিতে জিতেছিল কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। সপ্তম রাউন্ডে হ্যামিলটন মাসাকাদজার সেঞ্চুরির পরও পরাজয় এড়াতে পারেনি কলাবাগান। বুধবার ৯ রানের পরাজয়ে সুপার লিগ খেলার স্বপ্ন অনেকটা ভেস্তে গেল কলাবাগন ক্রীড়া চক্রের।

সাভারের বিকেএসপি-৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান করে। জবাবে জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে ম্যাচ হারিয়ে বসে কলাবাগান। ৯ রানের জয়ে লিগের চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে ব্রাদার্স।

জিম্বাবুয়ের মাসাকাদজা ১১১ রানের ইনিংস খেলেন ১০৫ বলে। ৯ চার ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ডানহাতি টপ অর্ডার এ ব্যাটসম্যান। ২৬৩ রানের লক্ষ্যে জয়ের ভিত গড়ে দেন সাদমান ইসলাম ও জসিমউদ্দীন। ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। দুজনই ৩০ রানে বিদায় নেওয়ার পর তৃতীয় উইকেটে মাসাকাদজা ও তাসামুল হক ১২২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান।

এ সময়ে মাসাকাদজা হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেও তাসামুল হক ৫ রানের আক্ষেপে পুড়েন। ৪৫ রানে তাকে আউট করেন নাবিল সামাদ। সতীর্থ ফিরে গেলেও সেঞ্চুরি মিস হয়নি মাকাদাজার। তার সেঞ্চুরির পর হঠ্যাৎ বিপদে কলাবাগান। সেই বিপদে যে ম্যাচ হারতে হবে তা কেউ কল্পনাও করেনি! মেহরাব হোসেন জুনিয়র (৬), মাশরাফি বিন মুর্তজা (২) ও মাসাকাজদা (১১১) ও তানভীর হায়দার (১) সাজঘরে ফিরে যান মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে। তখন কলাবাগানের জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ১৬ রান।

সেই লক্ষ্যে আব্দুর রাজ্জাক ও শরীফউল্লাহ যোগ করেন ৬ রান। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে শরীফউল্লাহ (৬) ফিরে গেলে আবারো চাপে পড়ে কলাবাগান। শেষ ৬ বলে জয়ের জন্যে তাদের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। প্রথম দুই বলেই স্বপ্নভঙ্গ কলাবাগানের। আহমেদ সাদিকুরের প্রথম বলে ক্যাচ উঠিয়ে দেন রাজ্জাক (৪)। পরের বলে আউট দেওয়ান সাব্বির (০)। ৯ রানের জয় পেয়ে যায় ব্রাদার্স। ২৩৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো কলাবাগান স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৫ রান যোগ করে অবশিষ্ট ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হেরে বসে।

বল হাতে ব্রাদার্সের হয়ে ৪টি উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদ। ২টি উইকেট নেন সাদিকুর রহমান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় ব্রাদার্স। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া শাহরিয়ার নাফিস শরীফউল্লাহর বলে সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন ১৫ রানে। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৬ রান যোগ করেন ইমরুল কায়েস ও তুষার ইমরান। দুজনই তুলে নেন লিগের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। ৩২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এ জুটি ভাঙেন শরীফউল্লাহ। ব্রাদার্সের অধিনায়ক তুষার ইমরান ৭৭ রানে দেওয়ান সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দেন। ৩ রানের ব্যবধানে সাজঘরের পথ ধরেন ৬৭ রান করা ইমরুল। আব্দুর রাজ্জাকের বলে এলবিডাব্লিউর শিকার ইমরুল।

এরপর কোনো ব্যাটসম্যানই ব্রাদার্সের ইনিংসকে বড় করতে পারেনি। জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়ামসের পরিবর্তে ভারতের মিলিন্দ কুমারকে এনেও কোনো ফল পায়নি ব্রাদার্স। ২৭ রান করেন দিল্লির এ ক্রিকেটার। শেষ দিকে সাদিকুর রহমানের ২২ ও নূর আলমের ২৩ রানে ৪৯.৩ ওভারে ২৬২ রান করে গোপীবাগের দলটি। বল হাতে কলাবাগানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন দেওয়ান সাব্বির, শরীফউল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক ও মাসাকাদজা।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: