স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
এ জন্য ইতিমধ্যে জল্লাদ রাজুকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
কারাগার সূত্র বলছে, জল্লাদ শাহজাহান কাশিমপুর কারাগারে থাকলেও সন্ধ্যার পর যেকোনো সময় তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হবে। তারপর ফাঁসির মঞ্চের সব ধরনের কাজ বা তদারকি করবেন জল্লাদ শাহজাহান।
নিজামীর জন্য ১০ জন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারা হলেন- রাজু, সাত্তার, আবুল, হজরত, রনি, ইকবাল, মোক্তার, মাসুদসহ আরো দুজন। এদের মধ্য থেকে দুই থেকে চারজন ফাঁসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। ইতিমধ্যে জল্লাদদের ফাঁসির সেল ঘোরানো বা ফাঁসি কীভাবে কার্যকর করা হবে, তার মহড়াও দিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে জল্লাদ শাহজাহান ও রাজুর একাধিক ফাঁসি দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন নিজামী। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ১৫ মার্চ আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর ২৯ মার্চ নিজামীর আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা দেন। নিজামীর বিরুদ্ধে আনা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়।
রোববার রাত থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারের রজনীগন্ধা সেলে রাখা হয়েছে আলবদর নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে।
0 coment rios: