বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

পুরাতন মবিল নতুন বোতলে : দূষণ এখন সবুজ পল্লীতে

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

পুরাতন মবিল নতুন বোতলে : দূষণ এখন সবুজ পল্লীতে









ইবনুল সাঈদ রানা
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুরা বাজার এবং চান্দ্রাকান্দি গ্রাম এর পাশে বেঁড়িবাধ পাওয়ার হাউজের কাছে মেঘনার তীরে ৪/৫ বছর যাবত সমু ওয়েলমিল নামে একটি কারখানা পুরাতন মবিল সংগ্রহ করে রিফাইন করে নতুন করে বোতলজাত করে বাজারে পাঠাচ্ছে।
এই মবিল আবার মূল্যবান যান বাহনে ব্যবহার হচ্ছে। গ্রাহক জানে না সে তার গাড়ীতে কি ব্যবহার করছে। এলাকার শত শত গাড়ী এই পুরাতন মবিল ব্যবহারে কারণে মারাত্মক যান্ত্রিক ক্ষতি হচ্ছে গাড়ীর মালিক রা জানতেও পারছে না। পুরাতন মবিল নতুন নামে বিক্রয় এটিও একটি প্রতারণা।
এই সমু ওয়েলমিল পুরাতন মবিল নতুন করার প্রক্রিয়ার সময় যে মেশিনটি ব্যবহার করে তার উচ্চ শব্দে এলাকার পশুপাখি এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী করছে। বিব্রত করছে এলাকার শিশু নারীসহ পথচারী অসংখ্য জনগনকে। মবিল তৈরির কারখানা থেকে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে মেঘনা নদীতে।
বর্জ্য ফেলার জায়গায় ভাসমান কচুরীপানাও বর্জের বিষাক্ততায় পুড়ে যায়। আশপাসে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ক্যামিকেলের বিষাক্ত গন্ধে এলাকাবাসী দম বন্ধ হয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যায়। স্কুল কলেজে আসা যাওয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই গন্ধে বমি করতে থাকে, অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পাশের বিদ্যালয়ের লেখাপড়ায় বিঘœতা ঘটছে।
  
এলাকাবাসির অভিযোগ
১। বিষাক্ত কালো ধোয়া উৎপন্ন হচ্ছে, আশপাশ এলাকায় কালো ধোয়ার কারণে গাছের পাতা সহ সকল কিছু দূষিত হচ্ছে।
২। এই কারখানায় এসিডের ব্যবহার করা হচ্ছে।
৩। কারখানায় উচ্ছ শব্দ সৃষ্টি হচ্ছে , যার কারণে প্রানিকুলের স্বাভাবিক বিচরণ বিনষ্ঠ হচ্ছে।
৪। কারখানার সকল ময়লা আবর্জনা, ক্যামিকেল উচ্ছিষ্ঠ সকল বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে, যার ফলে নদী দূষন হচ্ছে।
৫। বর্জ্য সমূহ নদীতে ফেলায় সবুজ কচুরীপানা, তীরের সবুজ ঘাস পুড়ে যাচ্ছে এসিডের কারণে। নদীর জলজ প্রানী জগতও এই বিষাক্ত বর্জ্যরে কারণে হুমকির মধ্যে রয়েছে।
৬। কারখানার বর্জ্য ও বিষাক্ত ক্যামিকেল এর গন্ধে এলাকাবাসির জীবন বিপর্যস্ত।


এলাকাবাসির প্রশ্ন!

১।  এ ধরণের পরিবেশ ধ্বংস কারী কারখানা এলাকার মধ্যে লোকালয়ে কি ভাবে পরিচালিত হচ্ছে? কর্তৃপক্ষ কেন দেখছে না।
২। এলাকাবাসীর সমস্যা করে, সকল মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুকিতে ফেলে  কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে। অথচ এই কারখানার বিরোদ্ধে কেউ মূখ খুলছে না ভয়ে, কারণ এর মালিক টাকা ওয়ালা ক্ষমতাধরদের যোগসাজসে চলছে। কর্তৃপক্ষ কেন দেখছে না।
৩। নদী দূষণ, পরিবেশ দূষণ এবং স্বাস্থ্য দূষণ চলছে, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?
৪। পরিবেশ অধিদপ্তর নিরব কেন?
[লেখক: চেয়ারম্যান, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন।]

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: