স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
১২ জুন,পালিত হয়েগেল বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস। শিশু অধিকার সুরক্ষা ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শিশু শ্রম সংস্থা (আইএলও) ২০০২ সাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিবছর দিবসটি পালন করে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে— ‘উৎপাদন থেকে পণ্য ভোগ, শিশু শ্রম বন্ধ হোক’। এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮০টি দেশ দিবসটি পালন করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের
প্রত্যাহার করে তাদেরকে বৃত্তিমূলক
ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা
হচ্ছে। আমাদের
সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কর্মসূচি হতদরিদ্র
মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া
শিশুদের উন্নয়ন ও কল্যাণে
‘সবার জন্য শিক্ষা’র
আওতায় সকল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে
শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ উপবৃত্তি
প্রদান এবং দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায়
স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু
রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও শিশুদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
শুধু মাত্র একবেলা খাবার
জোগাড় করতে শিশুরা দৈনিক
১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা
পর্যন্ত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে। শহরে ও গ্রামের শিশু শ্রমিকরা বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক খাত যেমন ট্যানারি, শিল্প-কলকারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, জাহাজ ভাঙা, পরিবহণ সেক্টর এবং অনানুষ্ঠানিক খাত কৃষি, পশু পালন, গৃহকর্ম, নির্মাণ কর্ম, ইট ভাঙ্গা, রিকশা-ভ্যান চালানো, লোহা কাটার কাজসহ প্রভৃতি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে।
শিশুশ্রম বন্ধের জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো দারিদ্র্যপূর্ণ পরিস্থিতির পরিবর্তন। আন্তর্জাতিক শ্রম
সংস্থা’র(আইএলও) কর্মকর্তা
কন্ট্যান্স থমাস বলেন “শিশুশ্রম
কে স্পষ্টভাবে সনাক্ত, প্রতিরোধ এবং দূর করার
জন্য একটি বলিষ্ঠ আইনী
কাঠামো প্রয়োজন। এর
মাধ্যমে কিশোরদের জন্য উপযুক্ত কাজের
পরিবেশ তৈরী করা যাবে। কারণ,
তখন তারা আইনসম্মতভাবে কাজ
করতে পারবে।” সরকারের
গৃহীত নীতিমালা ও আন্তর্জাতিক সনদের
মাধ্যমে গৃহীত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে
প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি
সমন্বিত প্রচেষ্টা। প্রত্যেকে
যার যার জায়গা থেকে
কাজ করতে সক্রিয় হলে
আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুস্বাক্ষর এবং
এর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ সফল হবে। তাই শুধু মাত্র সভা আর সেমিনার নয় আসুন প্রকৃত শিশু কল্যাণে কাজ করি ।
শিশুশ্রম
নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন
সংগঠন গৃহকর্ম, ভাঙারি, পোশাক কারখানার ঝুটের
কাজ, তুলা কারখানা বা
বেডিংয়ের কাজকে শিশুদের জন্য
ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত
করার দাবি জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ৩৮টি কাজের
তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে,
কিন্তু একেক ধরনের কাজে
ঝুঁকি বিভিন্ন রকম। তাই
সেক্টর অনুযায়ী কাজের ঝুঁকিও চিহ্নিত
করতে হবে।
0 coment rios: