স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না, আমি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট (সরকারপ্রধান)। সব তথ্য নিশ্চয়ই আমার কাছে আছে। সরকার বসে নেই। গোয়েন্দা সংস্থাও বসে নেই। তদন্তের স্বার্থে হয়তো সব কথা, সব তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু সূত্রটা জানা যায়। আর সেই সূত্র ধরেই আমরা কথা বলি।’
বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাপান, বুলগেরিয়া ও সৌদি আরব সফর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে গুপ্তহত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গুপ্তহত্যাগুলোর ঘটনায় রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার কারণে মূল অপরাধীরা আড়ালে চলে যায়, সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ ধরনের চিন্তা করে, তারা যদি জানে জঙ্গি কারা, সেই তথ্যটা দয়া করে আমাদের দিয়ে দিতে বলেন। আমরা যখন একজন আসামিকে ধরি, সমস্ত ক্লু ধরেই ধরি। টেলিফোন নাম্বারসহ সকল কিছু মিলিয়ে ধরি। এতেই আমরা যোগসূত্রটা পাই।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা কিন্তু বসে নাই। যারা মনে করেন, আমরা রাজনৈতিক হিসেবে এটা বলছি, এতে জঙ্গিরা পার পেয়ে যাচ্ছে, তাহলে পার পেয়ে যাওয়া জঙ্গিরা কারা- তাদের নাম ঠিকানা পরিচয় যদি জেনে থাকেন, তাহলে তারা আমাদের দয়া করে জানান। জঙ্গি জঙ্গিই। তারা যে দলেরই হোক, আমাদের কাছ থেকে রেহাই পাবে না। এইটুকু আশ্বাস আমি দিতে পারি।’
সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ছেলে জয় কী অপরাধ করেছে? এফবিআই অফিসারকে কারা টাকা দিয়ে কিনে ফেলল? এই টাকা কোথা থেকে আসল? এই টাকা কে বহন করেছে? কারা দিয়েছে? কারা বৈঠক করেছে? কারা চিঠি দিয়েছে? এটা তো আমরা নয়, আমেরিকাই বের করেছে। এই মামলা প্রায় তিন বছর আগে থেকে চলছে। কারণ আমেরিকার এফবিআই অফিসার বিক্রি হয়ে গেছে। তখন মামলাটা ওখানেই শুরু হয়। আমরা তো জানতামই না। আমেরিকার তদন্তের মাধ্যমেই বেরিয়ে এসেছে কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত। কারা এই ষড়যন্ত্র করছে? গুপ্তহত্যার সাথে আমরা যাদের যোগসূত্র পাই, সেটা কি মিথ্যা।’
যারা প্রকাশ্যে মানুষ খুন করতে পারে, পুড়িয়ে মানুষ মারতে পারে, তারা এর সঙ্গে যুক্ত হবে না- এই ধারনাটা কোথা থেকে আসে? এ প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার মানে এ ধরনের একটি সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদি পার্টিকে বাংলাদেশে জীবিত রেখেই দিতে হবে! আর বাংলাদেশের মানুষকে সবসময় একটা আশঙ্কার মধ্যে রাখতে হবে!’
0 coment rios: