স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
রোববার গোয়েন্দা পুলিশ দাবি করে, লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য শরীফুল ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ শনিবার দিবাগত রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। তবে ঘটনার একদিন পর নিহতের পরিবার দাবি করছে তার নাম মুকুল রানা।
সোমবার রানার পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করেন।
রানার দুলাভাই হেদায়েতুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পত্রিকায় ছবি দেখে তারা সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে আসেন। লাশ দেখে তারা শনাক্ত করতে পেরেছেন যে, নিহত ব্যক্তি শরীফ নন, মুকুল রানা (২৫)।
নিহত রানার ভোটার আইডি কার্ড
রানার পিতার নাম আবুল কালাম আজাদ। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার বালুইগাছা।
রানা সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তারা দুই ভাই এক বোন। তিনি ভাই-বোনদের মধ্যে দ্বিতীয়। তাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়।
সাতক্ষীরায় রানার বাবার ছোট চিংড়ি ঘের রয়েছে। এক বছর আগে চাকরির সন্ধানে রানা সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ফেব্রুয়ারিতে গ্রামে যান এবং মহুয়া সুলতানা নামের এক মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিবাহ হয়। এরপর তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন।
এক প্রশ্নের জবাবে রানার দুলাভাই হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, রানাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারা গ্রামে গিয়ে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
সোমবার দুপুরে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএমপি গণমাধ্যম শাখার প্রধান মাসুদুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঘটনার পর সবার পরিবার এমন কথা বলে। কিন্তু শরীফ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তার প্রমাণাদি গোয়েন্দাদের কাছে আছে।’
এদিকে খিলগাঁও থানার এসআই আল মামুন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের নাম শরীফুল উল্লেখ করে সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা অভিভাবক ছাড়া এ নামের লাশের সুরতহাল রিপোর্টে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস মেহেদী। পরে অজ্ঞাত (২৫) হিসেবে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন হয়।
0 coment rios: