স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার বলেছেন, ‘মিতু
হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন
ওয়াসিম ও আনোয়ার। ওয়াসিম মিতুর মাথায় গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।’তিনি বলেন, ‘এরা দুইজন আজ আদালতে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে স্বীকারোক্তি করেছে।’
রোববার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে চট্টগ্রামের লালদীঘির সিএমপির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হলে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার রহস্য খোলাসা করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘মিতু হত্যা মামলায় ওয়াসিম ও আনোয়ার ছাড়া আর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এর আগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা মিতু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।’
ইকবাল বাহার বলেন, ‘মিত্য হত্যায় ওয়াসিম ও আনোয়ার সরাসরি জড়িত। এদের মধ্যে ওয়াসিম মিতুর মাথায় গুলি করে মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ ছাড়া আনোয়ার ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থান নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যাকআপ দিয়ে সহযোগিতা করে।
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে সর্বমোট ৭ থেকে ৮ জন অংশ নিয়েছে। সরাসরি অংশগ্রহণকারী দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা পুলিশের কাছে রয়েছে।’
গ্রেপ্তারকৃত দুই হত্যাকারী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও পুলিশ কমিশনার নিশ্চিত করেন।
এই হত্যাকারীরা মিতুকে কেন ও কি উদ্দেশে হত্যা করেছে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘এখন এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আমি অনুমান নির্ভর কিছু বলতে চাই না। মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে খোলাসা করে কিছু বলব না।’
মামলার বাদীকে ১৫ ঘণ্টা আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ কিংবা পুলিশ প্রহরায় রাখা প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘মামলার বাদী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নিরাপত্তার স্বার্থে তার সাথে ও বাসায় সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ কিংবা আটক করা হয়নি। মামলার বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।’
মামলার তদন্ত কবে শেষ হবে এবং কবে এই হত্যা রহস্য পুরোপুরি উন্মোচন করা হবে এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান পুলিশ কমিশনার।
এর আগে আজ দুপুরে মিতু হত্যা মামলায় ওয়াসিম ও আনোয়ার নামে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
0 coment rios: