মাদকের শিকার হয়ে বাবা-মাকে হত্যা করে এখন মৃত্যুদণ্ডের সাজা মাথায় নিয়ে
দিন কাটছে ঐশী রহমানের। নেশায় স্বাভাবিক বোধ-বিবেচনা হারিয়ে বাবা-মাকে খুন
করা ঐশীর বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমাতে রাষ্ট্রপতির
দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
মানবিকতার জয়গান গাওয়া কবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ঐশী প্রশ্নে দেয়া এক
স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ঐশীর প্রাণরক্ষার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে
আমাদের আকুল আবেদন। ঐশীর মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে
অনুরোধ করার বিষয়টি নিয়ে আমিও ভাবছিলাম। একটু দ্বিধার মধ্যে ছিলাম। এমন
সময় ঐশীর প্রাণদণ্ড মওকুফ করার জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে লেখা কবি
সৈয়দ তারিকের আবেদনটি চোখে পড়লো।
দেখলাম কবি তারিকের আবেদনটির প্রতি বহু মানুষের সমর্থনও আছে। তারা নেশার
কবলে পড়ে বিবেক বা চৈতন্য হারানো কিশোরী ঐশীকে প্রাণভিক্ষা দেবার পক্ষে।
আমিও ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে তাকে অন্য কোনো লঘু দণ্ড দেয়ার জন্য
মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমাদের সংবিধান যেহেতু আমাদের রাষ্ট্রপতিকে অনুকম্পা প্রদর্শনের ক্ষমতা
দিয়েছে- এবং ইতিপূর্বে এরকম অনুকম্পা আমাদের রাষ্ট্রপতিগণ একাধিক ক্ষেত্রে
প্রদর্শনও করেছেন, সেহেতু ঐশীর বয়স এবং অপরাধঅন্তে অপরাধ স্বীকার করে
নিজেকে আইনের কাছে সোপর্দ করার বিষয়টি বিবেচনা করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি
ঐশীর প্রাণদণ্ড মওকুফ করতে পারেন।
এই স্বকর্মদোষে অভিভাবকহারা, প্রায়-মস্তিষ্ক-বিকৃত কিশোরী ঐশীর পক্ষ থেকে
কবি সৈয়দ তারিকের মতো আমিও মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে মেয়েটির প্রাণরক্ষার
জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
"ক্ষমা" শব্দটি যেহেতু আমাদের অভিধান ও সংবিধানে আছে- সেহেতু ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষমার প্রয়োগও আমরা প্রত্যাশা করতে পারি।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি, আপনি ঐশীকে প্রাণ ভিক্ষা দিন। তাতে কবরে শায়িত
হতভাগিনী ঐশীর মা-বাবাও অখুশি হবেন না। আমার ধারণা, দেশের অধিকাংশ মানুষও
ঐশীকে ফাঁসির রশিতে ঝুলতে দেখতে চাইছেন না।
0 coment rios: