স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
শনিবার সকালে সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।
এর আগে সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
মন্ত্রী জানান, ২০০৩ সালে সারা দেশের ২৭১ উপজেলার ৫০ লাখ নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এরমধ্যে ১৪ লাখ ৫০ হাজার অর্থাৎ ২৯ শতাংশ নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত (৫০পিপিবির বেশি) আর্সেনিক পাওয়া গেছে।
পরবর্তীতে সরকার নানা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়। ফলে বর্তমানে ১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক দূষণজনিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আর্সেনিক ঝুঁকি থেকে জনসাধারণকে রক্ষা করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, এজন্য পল্লি এলাকায় প্রতি ৮৮ জনের জন্য একটি পানির উৎস নিশ্চিত করা হয়েছে। পানি সরবরাহের কভারেজ ৮২ শতাংশ থেকে ৮৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০টির বেশি গ্রামকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার অধীনে আনা হয়েছে। গত ১৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ পানির উৎস স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই লাখ ১০ হাজার পানির উৎস আর্সেনিক সমস্যাসংকুল এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে। এর বাইরে ১ লাখ ৫৭ হাজার পানির উৎসের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়েছে।
0 coment rios: