স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন মঙ্গলবার সচিবালয়ে চলতি বছর হজযাত্রা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
বিমানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে, শেষ হবে ১৬ অক্টোবর। অন্যান্য বছরের মতো এবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করবে।’
তিনি বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন থেকে ইতোমধ্যে ১১২টি ডেডিকেটেড (শুধু হজযাত্রী পরিবহন) ও ৩২টি সিডিউল ফ্লাইটে ৫২ হাজার ৬৪ জন হজযাত্রী বহনের অনুমতি পেয়েছে। একইভাবে হজ শেষে ১০৫টি ডেডিকেটেড ফিরতি ফ্লাইট ও ২৯টি সিডিউল ফ্লাইটে হাজী পরিবহনের অনুমতি পেয়েছে।’ তাছাড়া বাকী হজযাত্রী পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স।
বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। এর বাইরে আরো ৫ হাজার হজযাত্রী বিবেচনাধীন রয়েছেন। সৌদি সরকারকে এই বাড়তি হজযাত্রীর অনুমোদনের জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি জুন মাসের মধ্যে জানা যাবে। এবার সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যেক ফ্লাইটে তিনজন মোয়াল্লেমের অধীনে ৫০ জন করে হজযাত্রী যেতে পারবেন।’
গত বছরের মতো এবারও হাজীদের পবিত্র জমজমের পানি বহন করে আনতে হবে না জানিয়ে মেনন বলেন, ‘আগের মতো পবিত্র জমজমের পানি এবারও দেশে নিয়ে আসা হবে। হজযাত্রীরা যখন ফেরত আসবেন তখন তাদের হাতে জমজমের পানি পৌঁছে দেওয়া হবে, তাদের এ পানি বহন করে নিয়ে আসতে হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গতবছর ছোটখাট সমস্যা ছাড়া হজ পালনে আমরা সুনাম অর্জন করেছি। এবারও আমরা সেটা করতে চাই। আশা করছি, প্রতিবারের মতো এবারও সুষ্ঠুভাবে হজ সম্পন্ন হবে।’
সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার মানুষ হজে যেতে পারবেন।
মন্ত্রিসভা গত ১১ জানুয়ারি যে হজ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে, তাতে এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোরবানিসহ প্যাকেজে ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকা এবং কোরবানি ছাড়া প্যাকেজে ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা খরচ হবে।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মূল খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪১ টাকা। এর সঙ্গে খাওয়া-বাড়ি ভাড়া যোগ করে এজেন্টরা প্যাকেজ ঠিক করবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর (৯ জিলহজ) হজ হওয়ার কথা রয়েছে।
0 coment rios: