স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব সফর করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বাদশার শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর প্র্রথম সৌদি সফর এটি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩ জুন জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। সৌদি আরবে অবস্থানকালে তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করেন এবং মসজিদে নববীতে হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।
জেদ্দায় সৌদি বাদশার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় নেতা বৈশ্বিক শান্তি, উন্নয়ন ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে একত্রে কাজ করার পাশাপাশি উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্ভাবনা কাজে লাগানো এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে সম্মত হন।
দুই নেতা ইসলামিক জোটের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনার সফরকালে সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখের বেশি জনশক্তি নিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং শ্রমিক ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, শিক্ষক ও ইঞ্জিনিয়ার নিতে আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের জন্য বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন আরো কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আরো সৌদি বিনিয়োগ চেয়েছেন, বিশেষ করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের পাশাপাশি ঢাকা নগরীকে ঘিরে সার্কুলার রোড, রেল ও ওয়াটার ওয়েজ উন্নয়নে এই বিনিয়োগ চান।
সৌদি আরবের নির্মাণখাতে স্থপতি, প্রকৌশলীসহ দক্ষ জনশক্তি সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের সেনাকল্যাণ ভবন এবং সৌদি বাওয়ানি গ্রুপের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
0 coment rios: