প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম রোববার গণমাধ্যমকে জানান, নিহতদের স্মরণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের দ্বিতীয় দিন সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে শ্রদ্ধা নিবেদনের এই আনুষ্ঠানিকতা হবে।
সর্বস্থরের জনগণও সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এই শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও সোমবার নিহতদের শ্রদ্ধা জানাবেন বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গুলশানে নিহতদের স্মরণে দেশের মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী জঙ্গি; দেশি-বিদেশি অন্তত ৩৩ জন সেখানে জিম্মি হন।
প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়।
নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব ছিলো।
নিহত সাত জাপানির মধ্যে ছয়জন মেট্রোরেল প্রকল্পের সমীক্ষা কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে ওই ক্যাফেতে ছিলেন আরো একজন, যাকে পরে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রাতে রেস্তোরাঁয় হামলার পরপরই সেখানে আটকেপড়াদের উদ্ধারে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দীন হামলাকারীদের বোমার স্প্লিন্টারে নিহত হন।
শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের উপর আস্থা রাখুন। ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আমরা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ঠেকাতে জনগণকে সক্রিয় হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
0 coment rios: