স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম::
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ।
ঢামেকের তৃতীয় তলায় নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, গুলশান থানা পুলিশের নির্দেশে সিএমএইচে ২৬টি মরদেহের ময়নাতদন্ত করি। এর মধ্যে পাঁচ জঙ্গির মরদেহ রয়েছে।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মর্গে গুলশান হামলায় নিহতদের ময়নাতদন্ত করেন ডা. সোহেল মাহমুদ।
ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, নিহত জঙ্গিদের প্রত্যেকের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তিনজনের শরীর বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের হাতের কিছু অংশ, অন্যজনের হাত বিচ্ছিন্ন এবং আরেকজনের শরীরের একপাশ থেঁতলে গেছে।
নিহত জিম্মিদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পেছন থেকে তাদের ঘাড়ে গুলি করা হয়েছে। প্রত্যেকের শরীরে রয়েছে ধারালো অস্ত্রের আঘাত। অবন্তী কবিরকে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। সবার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জিম্মি নারীদের সেক্সুয়াল অ্যাসাল্ট করা হয়েছে কিনা, এটা জানতে হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব (High vaginal swab) সংগ্রহ করেছি।’
গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে দেশি-বিদেশি ২০ জিম্মি নিহত হন। এর আগে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরের দিন সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের হত্যা করে যৌথ বাহিনী।
0 coment rios: