রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঘটনাস্থলে গেছেন স্বজনরা।
রোববার দুপুর থেকেই ফুল নিয়ে আসতে থাকেন তারা। পুলিশের ব্যারিকেডের বাইরের অংশে মোমবাতি জ্বালিয়ে ও ফুল দিয়ে একে একে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তারা।
শ্রদ্ধা জানাতে এসে মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের ট্রাস্টি আক্কু চৌধুরী বলেন, ‘এসব হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ করেছি সোনার বাংলা গড়ার জন্য। একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বলে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বাঁচতে চাই।’
শ্রদ্ধা জানাতে ঘটনাস্থলে আসেন মনিকা চৌধুরী। তিনি হামলায় নিহত ইশরাত আখন্দের বান্ধবী।
তিনি বলেন, ‘আমি খুবই মর্মাহত। শোক প্রকাশের মতো ভাষা আমার নেই।’
শিল্পী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দেশে জঙ্গিবাদ দমন করতে হলে সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারো ডাকের অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। যার যার অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আমাদের ধর্মনিরপেক্ষভাবেই বাস করতে হবে। এখানে ধর্মান্ধতার কোনো সুযোগ নেই।’
0 coment rios: