স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
সন্ত্রাসীরা গাড়ি নিয়ে নয়, হেঁটে হেঁটে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়
গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
হামলাকারীদের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসী যুবকগুলো একজন দুজন করে হাঁটতে হাঁটতে ঢুকেছিল। এখন আমরা সিসি টিভি ক্যামেরাতে দেখছি- ওরা গাড়ি ব্যবহার করেনি, হেঁটে হেঁটে এসেছে। ভিডিওতে এ লোকগুলোকে আমরা রাস্তায় দেখেছি’।
গুলশানের মতো জায়গায় সন্ত্রাসীরা অস্ত্রসহ কিভাবে প্রবেশ করল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা কি অস্ত্র প্রকাশ্যে নিয়ে গিয়েছিল? ওরা ব্যাক প্যাকে অস্ত্র নিয়েছে। ওরা অল্প বয়সের। সবাই মনে করেছে ছাত্র’।
গাড়ি চেক করার বিষয়ে তিনি বলেন, গুলশানে হাজার গাড়ি চলাচল করে। তিন মিনিট করে একটা গাড়ি চেকপোস্টে থাকে, তাহলে কি হবে? পুরো গুলশান ব্লক হয়ে যাবে’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুলশান এলাকায় এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে যে জঙ্গি হামলা হবে তা আগে থেকেই জানতো গোয়েন্দারা। আর সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগে থেকেই সতর্ক ছিল।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভাতেও মন্ত্রী একই কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘গুলশান এলাকায় এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে যে জঙ্গি হামলা হবে তা আগে থেকেই জানতো গোয়েন্দারা।’
মন্ত্রীর রোববারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে সচিবালয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মন্ত্রী একই কথা বলেন।
তবে আগামীতে এ ধরনের যে কোনো হামলা যাতে না হয় বা হামলা মোকাবিলার বিষয়ে সরকারের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে বলেও এ সময় তিনি মন্তব্য করেন।
গোয়েন্দাদের আগাম তথ্য পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দারা সন্দেহ করছিলেন। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা ছিল, এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে কোথায় হবে, কখন হবে, এগুলো ছিল না। সে জন্য আমাদের পুলিশ সর্তক অবস্থায় ছিল’।
শোলাকিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শোলাকিয়ায় পুলিশ সর্তক অবস্থায় ছিল। সেখানে অনেক মানুষের জীবননাশ হতে পারতো, এমন আশঙ্কা ছিল, সেটা থেকে আমরা রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। গুলশানে যেটা হয়েছে, আমরা খবর পাওয়ার পর পরই তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সেখানে চলে গিয়েছিল। আমাদের পুলিশ সব জায়গায়ই একটা অবস্থানে ছিল’।
গুলশানের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই তৎপরতা ছিল। আক্রমণের তিন মিনিটের মাথায় এসআই ফারুক সেখানে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। ১০ মিনিটের মাথায় তার সহকর্মীরা গিয়ে হাজির হয়েছিলেন’।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলার বিষয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছু আমলে নেই। যতো তথ্য, সংবাদ, সবকিছু আমলে নেই, বিশ্লেষণ করি’।
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নজরদারিতে রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ফেসবুকে এগুলো কোথা থেকে আসে, সেগুলো সন্ধান করতে একটু সময় লাগে। সবগুলোই নজরদারিতে আছে’।
0 coment rios: