পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা কিংবা ছিল কিনা, সে বিষয়ে অনেক বছর ধরেই গবেষণা চলছে।
তবে মঙ্গল গ্রহে অতীতে কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিংবা বর্তমানে রয়েছে, এমন প্রমাণ নাসা তাদের গবেষণায় এখন পর্যন্ত না পেলেও, ইউএফও গবেষকরা এ ব্যাপারে নাসার সঙ্গে একমত নয়। কেননা বরাবরই ইউএফও গবেষকরা মঙ্গল গ্রহে ভিনগ্রহী প্রাণীদের বসবাস ছিল কিংবা এখনো রয়েছে বলে দাবী করে আসছে।
গ্রহটিতে কাজ করছে নাসার একাধিক রোবটযান। উন্নত এসব রোবটযান মঙ্গল গ্রহে নানা অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং একের পর এক ছবি পাঠাচ্ছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, নাসার প্রকাশিত রোবটযানের পাঠানো ছবিগুলো বিশ্লেষণ করেই, ইউএফও গবেষকরা মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের দাবী করে আসছে।
ইতিমধ্যে মঙ্গল গ্রহে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর জীবাশ্ম, মূর্তি, কামান, চামচ, কবর, মমিসহ একের পর এক নানা কিছু দেখার দাবি করেছেন বিভিন্ন ইউএফও গবেষকরা।
এবার মঙ্গল গ্রহে ক্ষুদ্র আকৃতির অ্যালিয়েন অর্থাৎ ভীনগ্রহের প্রাণীর বাসস্থান দেখা গেছে বলে দাবী করেছেন ইউএফও বিশেষজ্ঞরা। ৬ ইঞ্চি প্রবেশপথের একটি বাসভবন ছবিতে ধরা পড়েছে বলে দাবী।
নাসার প্রকাশিত স্পিরিট রোভারের তোলা মঙ্গলগ্রহের ভূমির একটি ছবি বিশ্লেষণ করে তাতে দেখা যাওয়া স্থানটি অ্যালিয়েনের বাসভবন কিনা- এ প্রশ্ন তুলেছেন ‘লাক্সর২০১২ইউএফও’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে।
তবে এটিকে স্পষ্টতই ক্ষুদ্রাকৃতির অ্যালিয়েনের বাসস্থান হিসেবেই সমর্থন করেছেন ইউএফও বিষয়ক জনপ্রিয় সাইট ‘ইউএফও সাইটিংস ডেইলি ডটকমের’ স্রষ্টা স্কট সি। নতুন ছবিটি প্রসঙ্গে ইউএফও বিশেষজ্ঞ স্কট সি তার ব্লগে বলেন, ‘ এটা স্পষ্টতই অ্যালিয়েনের বাসভবনের দরজা। যার মাপ ৩ ইঞ্চি বাই ৬ ইঞ্চি। এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত যে মঙ্গলে ক্ষুদ্রাকৃতির প্রজাতি রয়েছে।’
উল্লেখ্য গত ২২ জুন প্যারানরমাল ক্রুসিবল নামক ইউটিউব চ্যানেলের ইউএফও গবেষকরা মঙ্গল গ্রহের ছবিতে ক্ষুদ্রাকৃতির একটি অ্যালিয়েন দেখার দাবী করেছিলেন।
পাথরের আড়ালে ছয় ইঞ্চি আকৃতির একটি ক্ষুদ্র অ্যালিয়েন নিজেকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বলে নাসার প্রকাশিত কিউরিসি রোভারের তোলা ছবিতে দেখা গেছে বলে দাবী করেছিলেন।
সুতরাং চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে, নতুন ছবিটিতে দেখা যাওয়া বাসস্থানটি আসলে অ্যালিয়েনেরই বলেও মনে করা হচ্ছে।
নাসা অবশ্য বরাবরের মতো এবারও ইউএফও বিশেষজ্ঞদের দাবীর ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। ২০১৩ সাল থেকে ইউএফও গবেষকরা মঙ্গল গ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে প্রাণের অস্তিত্ব বিষয়ে নানা কিছু দেখার দাবি করে আসলেও, তাদের একের পর এক এসব দাবীর ব্যাপারে নাসা বরাবরই নীরব।
আগামী ১০ বছরের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে মঙ্গল গ্রহে বসবাসের জন্য মানুষ পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যেই নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনা নিয়েছে নাসার বিজ্ঞানীরা।
0 coment rios: