স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম::
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী চার্জশিট দাখিল করেন। যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- গ্রেপ্তার জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য মাসুদ রানা, এহসাক, লিখন ও আবু সাইদ, পলাতক জেএমবি সদস্য সাদ্দাম হোসেন, আহসান উল্লাহ, নজরুল ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেন। হত্যার ১০ মাস পর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলো।
গ্রেপ্তার হীরা, বিপ্লব, মেরিল সুমন ও রুবেলকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৩ অক্টোবর রংপুর শহরের অদুরে কাউনিয়ার আলুটারিতে জাপানের নাগরিক কুনিও হোশিকে তিন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পরপরই কুনিও’র ব্যবসায়িক পার্টনার হুমায়ুন কবির হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে দুই দফায় ১৫ দিন রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে পুলিশ আরেকটি হত্যা মামলায় হিরাকে আবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়। পরে হিরা ২৮ অক্টোবর আদালতে জবানবন্দি দেন।
এ মামলায় বিএনপি নেতা হাবিবুন নবী খান সোহেলের ছোট ভাই রাশেদুন নবী খান বিপ্লবকে রংপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকেও ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। কিন্তু রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই বিপ্লবকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১২ নভেম্বর রংপুর মহানগর যুবদলের সদস্য রাজিব হাসান সুমন ওরফে মেরিল সুমন, যুবদলের সদস্য জুম্মাপাড়ার নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে কালা রুবেল এবং শালবন এলাকার কাজল চন্দ্র বর্মণ ওরফে ভরসাকে র্যা ব সদস্যরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। তাদেরও কুনিও হত্যার আসামি দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর হঠাৎ করেই কুনিও হত্যার বিষয়ে নতুন তথ্য যোগ হয়। রংপুরের পীরগাছা থেকে জেএমবির সামরিক শাখার নেতা মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে কুনিও হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দেয় মাসুদ রানা। মাসুদ রানা কীভাবে কুনিওকে হত্যা করেছে, কারা কারা তার সঙ্গে ছিল, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল কারা সরবরাহ করেছে এসব তথ্য তিনি জবানবন্দিতে জানান।
কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, তদন্ত শেষে তিনি নিজেই কাউনিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে জেএমবির আট সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন। মামলার অপর আসামিদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
0 coment rios: