বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০১৬

পুলিশের ওপর জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশসহ চারজন নিহত

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম::

হামলাকারীরা কেউ কাউকে চেনে না!কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে আজিমুদ্দিন স্কুলের পাশে পুলিশের ওপর জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশসহ চারজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক হামলাকারী জঙ্গি ও স্থানীয় এক নারী রয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো ১২ জন। আটক হয়েছে তিন হামলাকারী।

এদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক এক জঙ্গির নাম আবু মুক্কাদিল বলে জানা গেছে। তার বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এলাকায়। সে মাদ্রাসার আলিম শ্রেণির ছাত্র বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি এ জঙ্গি জানিয়েছে, হামলায় তারা পাঁচজন অংশ নিয়েছিল। তবে তারা কেউ কাউকে চেনে না বলে জানায়।

কিশোরগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শরীফ আহমেদ সাদী হামলায় আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ওই হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাদের প্রত্যেকের পরনে পাঞ্জাবি ও পায়জামা । মুসল্লিদের সঙ্গে মিশে তারা পুলিশের কাছাকাছি চলে আসে এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিতে তারা বোমা নিক্ষেপ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা অসম্ভব ক্ষিপ্রতার সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। তারা বোমা নিক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে চাপাতি দিয়ে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তারা পুলিশ সদস্যদের জখম করে। পুলিশ গুলি চালালে তারাও দ্রুততার সঙ্গে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।


এদিকে নিহত হামলাকারীর পরনে রয়েছে হালকা নীল পাঞ্জাবি ও পায়জামা। আটক সন্দেহভাজন হামলাকারী আবু মুক্কাদিলের পরনে লাল রঙের পাঞ্জাবি। তার মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে মামুন ও আহসান উল্লাহ নামে আরো দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে নিহত সন্দেহভাজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিরা গোলাগুলি করতে করতে শোলাকিয়া এলাকার একটি বাসায় ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে তারা পুলিশের ওপর গুলি করে তারা। এ কারণে এ বাড়ির মালিক আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হান্নান ভূঁইয়া বাবুলকে জিজ্ঞাবাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নূরুজ্জামান বলেছেন, এটি প্রশিক্ষিত জঙ্গি বাহিনীর কাজ। তদন্ত শেষ না করে বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জঙ্গিরা রিভলবার, বোমা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এ হামলায় অংশ নেয়।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: