মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬

সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের ফুটবল ঈদ আনন্দ উৎসব।

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম::


সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের দৃশ্য

সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের দৃশ্য

 দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক ব্র্যান্ড ওয়ালটনের সার্বিক সহযোগিতায় সোমবার শুরু হয় সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের ফুটবল ঈদ আনন্দ উৎসব। স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট আজ ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।

ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের ফুটবল ঈদ আনন্দ উৎসবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আরামবাগ ফুটবল একাডেমি। রানার আপ হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম। ফাইনালে বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরামকে ২-০ গোলে হারায় আরামবাগ। জোড়া গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন আরামবাগের মো. সাব্বির। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলকে ৮ হাজার ও রানার আপ দলকে ৪ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি দেওয়া হয়েছে।

টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছে আরামবাগ ফুটবল একাডেমির সালমান। আর সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরামের হৃদয় (৯ গোল)। তাদেরকে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে হোম অ্যাপ্লায়েন্স দিয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তারা ১ হাজার টাকা করে প্রাইজমানি পায়।

ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), ওয়ালটন গ্রুপের এডিশনাল ডিরেক্টর নিয়ামুল হক (হেড অব সার্ভিস) ও ক্রীড়া সংগঠক হেলেনা জাহাঙ্গীর। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রশাসক ও ওয়ালটন সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রধান সমন্বয়কারী মো. ইয়াহিয়া।


অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান ড. শ্রী বিরেন শিকদার এমপি এমন ব্যাতিক্রমীধর্মী আয়োজনকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত পথ শিশুদের জন্য কি করা যায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে অচিরেই কর্মপন্থা খুঁজে দেখা হবে। কারণ গরীব-ধনী বলে কথা নেই। সবাইকে নিয়েই আমাদের বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ ক্রীড়া ক্ষেত্রে পৃথিবীর মধ্যে অনেক পরিচিত একটি নাম। ক্রীড়াবিদরা আমাদের দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে। তাই আমরা আমাদের ক্রীড়াঙ্গনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সরব-সচল রাখতে চাই সকল পর্যায়েই।’



এবারের এই টুর্নামেন্টে ১২টি দল অংশ নেয়। অংশ নেওয়া প্রত্যেকটি দলকে ২ হাজার টাকা করে পার্টিসিপেশন মানি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দলে ৬ জন করে খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পায়। গোলরক্ষক বাদে দুজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করার সুযোগ ছিল। খেলা হয় ২০মি.+১০ মি.+২০ মিনিট।
 

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: