স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
দলের নেতা-কর্মীদের অন্যান্য বছরের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে কেক ও ফুল নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যেতে নিষেধ করেছেন তিনি। গত বছর ১৫ আগস্ট প্রথম প্রহরে কেক না কাটলেও ওই দিন রাত নয়টার দিকে একাধিক কেক কেটেছিলেন খালেদা জিয়া। গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়েও এই উপলক্ষে বিশেষ আলোকসজ্জাও করা হয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার বলেন, ‘দেশের মানুষ যেভাবে গণতন্ত্রহীন অবস্থায় অনিরাপদ জীবনযাপন করছেন তাতে মানুষ খুব কষ্টে আছে। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এদিকে দেশের বিভিন্নস্থানে বানবাসী মানুষের দুঃখ-দুর্দশা চরম আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া বিএনপির বহু নেতা-কর্মী বিনাদোষে কারাগারে কষ্টে আছেন। এ অবস্থায় এ বছর জন্মদিন পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেত্রী (খালেদা জিয়া)।’
দলীয় সূত্র বলছে, জন্মদিন উদযাপন না করার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো না হলেও দলের বিভিন্ন সহযোগী, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কেক নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে না যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুদিন ধরে বিতর্ক চলে আসছে। সম্প্রতি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে জন্য বিএনপির জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়া শুরু করার পর খালেদা জিয়ার ‘পরামর্শক’ ডা. জাফরুল্লাহ খালেদা জিয়াকে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন না করার পরামর্শ দেন। পরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীও খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে তাকে একই পরামর্শ দেন।
১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন হলেও তার আরো কয়েকটি জন্মদিনের হদিস পাওয়া যায়। তার জন্ম সাল নিয়েও দুই রকম তথ্য আছে। বাংলা পিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি গ্রন্থে তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দেখানো হয়েছে।
0 coment rios: