স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
বৃহস্পতিবার বেলা ২ টা ৫৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ... রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। মুহিতুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন।
গত প্রায় এক মাস বিএসএমএমইউ’র কেবিন ব্লকের আইসিউতে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বিএসএমএমইউ’র সেকশন অফিসার (জনসংযোগ) প্রশান্ত কুমার মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মুহিতুল ইসলাম কিডনীর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর নয় সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়। কিডনির কার্যকারিতা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসায় মেডিক্যাল বোর্ড ভরসা পাচ্ছিলেন না।
তাঁকে একদিন পর পর ডায়ালাইসিস দেয়া হচ্ছিল। তাঁর ফুসফুসের সংক্রামক (নিউমোনিয়া) মারাত্মক আকার ধারণ করেছিলো। যা কোনো জীবাণুনাশকেই ভালোভাবে কাজ করছিলো না। তাঁর মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও ভালোভাবে কাজ করছিলো না। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা অনেকটাই ডায়ালাইসিস-এর উপর নির্ভরশীল ছিলো।
কিডনীর সমস্যা নিয়ে মুহিতুল ইসলাম বিএসএমএমইউ’র নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলমের অধীনে ভর্তি হয়েছিলন। তাঁকে কেবিন ব্লকের আইসিউতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিলো। সেখানে তাঁর অবস্থার উন্নতি হলে কেবিনে নেয়া হয়।
এরপর তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কেবিন থেকে গত ২৬ জুলাই তাঁকে পুনরায় আইসিইউতে নেয়া হয়। আর আজ তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকার সময় তার রিসিপসনিস্ট কাম রেসিডেন্ট পিএ ছিলেন মুহিতুল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি ধানমণ্ডির ওই বাড়িতেই ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের বাধা কেটে যাওয়ার পর ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর মামলা করেন মুহিতুল ইসলাম। এরপর এ মামলায় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর বিচারিক আদালত ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে হাইকোর্ট প্রথমে বিভক্ত রায় দিলে পরে তৃতীয় বেঞ্চে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
বিচার প্রক্রিয়া শেষে পাঁচ আসামির ফাঁসি ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। এছাড়া দণ্ডিত আসামীদের কয়েকজন এখনো পলাতক রয়েছেন।
0 coment rios: