মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৬

সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:


তারানা হালিমসচিবালয় প্রতিবেদক : দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও প্রথম মুঠোফোন অপারেটর প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকমের (সিটিসেল) লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সিটিসেলের কাছে লাইসেন্স ফি ও তরঙ্গ বাবদ ৪৭৭.৫১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বার বার বলার পরেও তারা টাকা পরিশোধ করেনি। তাই সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহকরা আগামী সাতদিন সিটিসেলের রিম ব্যবহার করতে পারবেন। সাতদিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যাবে। আগামীকাল থেকে সাতদিনের গণনা শুরু হবে।

প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে সিটিসেল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলেও জানান তারানা হালিম। তিনি বলেন, ‘যেহেতু সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামীকাল এ বিষয়ে অনুমোদনের জন্য সিদ্ধান্তের কপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই সিটিসেল অপারেটরের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

বকেয়া পাওনা আদায়ে মামলা মোকদ্দামাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

লাইসেন্স বাতিলের কারণে সিটিসেলে কর্মরত-কর্মচারীদের কী হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে সরকারের পরামর্শ দেওয়া বা হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।

অন্যান্য অপারেটরদের কাছে বকেয়া আছে কিনা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টেলিটক ও বিটিসিএল ছাড়া কোনো মোবাইল ফোন অপারেটরের (গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল) কাছে সরকারের পাওনা নেই। তবে টেলিটক ও বিটিসিএলের কাছ থেকে কিভাবে এই পাওনা আদায় করা যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর হিসেবে টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার লাইসেন্স পায় সিটিসেল ১৯৮৯ সালে। যাত্রার সময় এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মুঠোফোন অপারেটর। প্রথম থেকে সিটিসেল বাংলাদেশের একমাত্র সিডিএমএ (কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস) মোবাইল অপারেটর হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। শুরুর দিকে সংযোগসহ সিটিসেলের একটি ফোনের দাম রাখা হতো লাখ টাকার বেশি।

সিডিএমএ প্রযুক্তির অপারেটর হিসেবে সিটিসেল ৯০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের তরঙ্গ ব্যবহার করে। সারা দেশে এই ব্যান্ডের ১০ মেগাহার্টজ ও ঢাকায় ৮ দশমিক ৮২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ সিটিসেলের কাছে এখন আছে। বর্তমানে চালু থাকা টাওয়ারের সংখ্যা ২০০-এর কম বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: