মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৬

ইতিবাচক রাজনীতির ইঙ্গিত খালেদার?

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

বেগম খালেদা জিয়া‘দেশের সার্বিক অবস্থার কথা চিন্তা করে’ বিএনপি নেত্রী জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে সরে এসেছেন বলে দলটির নেতারা জানালেও বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়া খালেদা জিয়া ইতিবাচক রাজনীতির সূচনা করতে চাইছেন। গত মার্চে দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি যে ভিশন ২০৩০-এর রূপকল্প ঘোষণা করেছেন, সেখানেও ইতিবাচক রাজনীতির কথাই বলেছেন। সে জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনে জন্মদিন পালন করা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুদিন ধরে যে বিতর্ক চলে আসছে, সেটির অবসান ঘটালেন বিএনপি প্রধান। তবে রাজনৈতিক কারণে দলটির নেতারা ‘দেশের সার্বিক অবস্থার’ বিষয়টি বলছেন।

 বিএনপির জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়া শুরু করার পর খালেদা জিয়ার ‘পরামর্শক’ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন না করার জন্য খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দেন। পরে জাতীয় ঐক্য ইস্যুতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীও খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে একই পরামর্শ দেন। বিষয়গুলো আমলে নিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠান বাতিল করে বিতর্ক এড়াচ্ছেন বিএনপি নেত্রী। ১৫ আগস্ট জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে সরে আসাকে ইতিবাচক রাজনীতির শুরু হিসেবে দেখতে চাইছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটি ইতিবাচক ধারণা পোষন করে। তবে দেখার বিষয় হচ্ছে, আমাদের রাজনীতিবিদরা বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন এবং ব্যাখ্যা করেন।’
এদিকে প্রতি বছর খালেদা জিয়ার জন্মদিনে তার রাজনৈতিক কার্যালয় ও বাসায় নেতাকর্মীদের হৈ-হুল্লোর থাকলেও এবার তার ব্যতিক্রম দেখা গেছে। কারণ, জন্মদিন উদযাপন না করার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো না হলেও, দলের বিভিন্ন সহযোগী, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কেক নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে না যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয় আগেই। সেজন্য কার্যালয় কিংবা বাসা, কোথাও ছিলো না নেতা-কর্মীদের সমাগম। কেক কিংবা ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যাননি কেউ। অন্যান্য সাধারণ দিনের মতো দিনটি কাটিয়েছেন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাই প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের স্ত্রী ও বড় বোন দেখা করতে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’য় গিয়েছিলেন। তবে কোনো ফুল বা কেক নিয়ে তারা যাননি।




শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: